লন্ডনভিত্তিক সংস্থার গ্লোবাল সফট পাওয়ার ইনডেক্সে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের পাঁচটি সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল জাতিগত ব্র্যান্ডের একটি। ২০২৩ সালের সূচকে দেশ হিসেবে সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের ব্র্যান্ড মূল্য দাঁড়িয়েছে ৫০৮ বিলিয়ন বা ৫০ হাজার ৮০০ কোটি ডলার। ২০২২ সালে যা ছিল ৩৭১ বিলিয়ন বা ৩৭ হাজার ১০০ কোটি ডলার। অর্থাৎ, এক বছরে দেশের ব্র্যান্ড মূল্য বেড়েছে ৩৭ শতাংশ তথা ১৩৭ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ। এছাড়াও জাতিগত ব্র্যান্ডিংয়ে শীর্ষ পাঁচটি সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন করা দেশের মধ্যে বাকি চারটি দেশ হচ্ছে উজবেকিস্তান, আজারবাইজান, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও জর্জিয়া। কোনও দেশের ব্র্যান্ড পারফরম্যান্স সে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি এবং বাণিজ্য, বিনিয়োগ, পর্যটন ও বুদ্ধিদীপ্ততাকে তুলে ধরে। দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশকে ব্র্যান্ড হিসেবে এগিয়ে এনেছে।
দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি হিসেবে বাংলাদেশ সারা বিশ্বের প্রশংসা পেয়েছে। দেশের দারিদ্র্য বিমোচন মডেল বিশ্বব্যাংকের ‘দারিদ্র্য বিমোচন’ মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
গ্লোবাল সফট পাওয়ার ইনডেক্স প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১২টি বিষয়ের ওপর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ব্র্যান্ডিং করা হয়েছে। সেগুলো হল- দেশের পরিচিতি, গণমাধ্যম ও যোগাযোগ, শিক্ষা ও বিজ্ঞান, সুনাম, প্রভাব, ব্যবসা-বাণিজ্য, শাসনব্যবস্থা, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য, মানুষ ও মূল্যবোধ, স্থায়িত্ব এবং স্বীকৃতি। বাংলাদেশ বেশি নম্বর পেয়েছে পরিচিতি ও সুনাম সূচকে, ৪ দশমিক ৫ এবং ৫ দশমিক ২। এছাড়া সবচেয়ে কম নম্বর পেয়েছে শিক্ষা ও বিজ্ঞান সূচকে।
জাতিগত ব্র্যান্ড মূল্যের দিক থেকে সবার ওপরে আছে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের ব্র্যান্ড মূল্য ৩০ হাজার ৩০৯ বিলিয়ন বা ৩০ লাখ ৩০ হাজার ৯০০ কোটি ডলার। এরপর আছে যথাক্রমে যুক্তরাজ্য, জার্মানি, জাপান ও চীন।