সৌদি আরব, জাপানের পর এবার ইরান। গ্যারেথ বেলের দেশ ওয়েলসকে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচে ২-০ গোলে হারিয়ে দিল তারা। গোল করলেন রুজবে চেশমি এবং রামিন রেজিয়ান। দু’টি গোলই হয়েছে অতিরিক্ত সময়ে। ওয়েলসের গোলকিপার লাল কার্ড দেখে বেরিয়ে যাওয়ার পর। এক লাল কার্ডই ম্যাচের ফল বদলে দিল।
ম্যাচের আগেই নজির গড়ে ফেলেন গ্যারেথ বেল। ক্রিস গুন্টারকে টপকে ওয়েলসের হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচে খেলার নজির গড়লেন তিনি (১১০)। তবে ম্যাচে তাঁকে সে ভাবে দেখা গেল। শুরুটা ভাল করে ওয়েলই। ১২ মিনিটের মাথায় কিফার মুর ইরানের গোল লক্ষ্য করে শট নেন। ডান দিক দিয়ে পাস বাড়িয়েছিলেন রবার্টস। তবে মুরের শট সরাসরি হোসেন হোসেইনির হাতে যায়।
ম্যাচের গতির বিপরীতে আক্রমণ করে হঠাৎই গোল করে দেয় ইরান। নিজেদের অর্ধে বল ক্লিয়ার করে সতীর্থকে পাস বাড়িয়েছিলেন রবার্টস। তাঁর থেকে বল কেড়ে নেন গোলিজাদেহ। সর্দার আজমুনের সঙ্গে পাস খেলে আক্রমণে উঠতে থাকেন। এক দম শেষে পাস বাড়ান আজমুনকে। আজমুনের সামনে সুযোগ ছিল নিজেই শট নেওয়ার। কিন্তু তিনি গোলিজাদেহকে পাস দিতে যান। গোলিজাদেহ বল জালে জড়ালেও সাদা চোখেই বোঝা গিয়েছিল তিনি অফসাইড। রেফারি ভার-এর সঙ্গে কথা বলে গোল বাতিল করে দেন।
এর পর দু’দলই একে অপরকে আক্রমণ করতে থাকে। কিন্তু কেউই গোলের মুখ খুলতে পারছিল না। শেষ দিকে নুরুল্লাহির পাস থেকে আজমুন আবার গোল করার সুযোগ পেয়েছিলেন। তবে কাজে লাগাতে পারেননি। তবে আজমুনকে নামানোয় এ দিন ইরানের আক্রমণ ভাগ অনেক শক্তিশালী লেগেছে।
দ্বিতীয়ার্ধেও দুই দল একে অপরকে চাপে রাখার চেষ্টা করছিল। কেউই সফয় হচ্ছিল না। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের চার মিনিট আগে ওয়েলস গোলরক্ষক ওয়েন হেনেসির একটু ভুল সব বদলে দিল। বক্সের বাইরে একটি বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে বিপক্ষের ফুটবলারের মুখে পা তুলে দিয়েছিলেন। রেফারি প্রথমে তাঁকে হলুদ কার্ড দেখালেও ভার-এর সঙ্গে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত বদলে লাল কার্ড দেখান।
তাতেই নড়ে যায় ওয়েলসের আত্মবিশ্বাস। অতিরিক্ত সময়ে যার পুরোপুরি ফায়দা নেয় ইরান। ৯ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়েছিল। অষ্টম মিনিটে গোল করেন চেশমি। বক্সের বাইরে থেকে তাঁর গোল পরিবর্ত গোলরক্ষক ডেভিড ওয়ার্ডকে পরাস্ত করে গোলে ঢুকে যায়। উল্লাসে ফেটে পড়ে ইরান। দু’মিনিট পরেই আবার গোল। এ বার মাঝমাঠ থেকে মেহদি তারেমির থেকে বল পেয়ে ঠান্ডা মাথায় গোল করে আসেন রেজিয়ান।-আনন্দবাজার