বৃক্ষরোপণে বিশেষ অবদান রাখায় প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কারের জন্য সাত ব্যক্তি ও ১৬টি প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্তভাবে মনোনীত করেছে সরকার।
রোববার (২৩ মে) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ‘বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার-২০২০’ পদক সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির সভায় মনোনীতদের বাছাই করা হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব ডক্টর ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) এবং পদক মূল্যায়ন জাতীয় কমিটির সদস্য-সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামানসহ কমিটির সদস্যরা।
উপজেলা, জেলা এবং বিভাগ পর্যায়ে বিচারের পর জাতীয় কমিটি চূড়ান্তভাবে এ পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেওয়া হয়।
এবার বিদ্যালয়/সিনিয়র মাদ্রাসা পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্যাটাগরিতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কারের জন্য যথাক্রমে কুলসুম রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ভোলা; সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, নড়াইল এবং কে টি এম মাধ্যমিক বিদ্যালয়, নড়াইল মনোনীত হয়েছে।
কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয় শ্রেণিতে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় পুরস্কারের জন্য যথাক্রমে ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজ, শাহ নেয়ামতুল্লাহ কলেজ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ এবং এসডি ডিগ্রি কলেজ, ঝিনাইদহ মনোনয়ন পেয়েছে।
স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে প্রথম পুরস্কারের জন্য যথাক্রমে উপজেলা পরিষদ, চট্টগ্রাম মনোনীত হয়েছে।
অধিদপ্তর, পরিদপ্তর, সেক্টর কর্পোরেশন ও প্রতিষ্ঠান শ্রেণিতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে যথাক্রমে সদর দপ্তর ১৯ পদাতিক ডিভিশন, শহীদ সালাউদ্দিন সেনানিবাস, টাঙ্গাইল; শুন শিং সিমেন্ট মিলস লিঃ, খুলনা এবং বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, কুমিল্লা।
এনজিও, ক্লাব ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা শ্রেণিতে প্রথম পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে মানবসেবা স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন, নওগাঁ।
ব্যক্তিগত পর্যায়ে বৃক্ষরোপণ শ্রেণিতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কারের জন্য যথাক্রমে মো. হজরত আলী আকন্দ, শেরপুর; আদিনা মালিক, চুয়াডাঙ্গা এবং এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি, রাউজান মনোনীত হয়েছেন।
‘ব্যক্তি মালিকানাধীন নার্সারি’ শ্রেণিতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কারের জন্য যথাক্রমে আধুনিক নার্সারি, ময়মনসিংহ; টিএমএসএস নার্সারি, বগুড়া এবং হানিফ নার্সারি, টাঙ্গাইল মনোনয়ন পেয়েছে।
‘বাড়ির ছাদে বাগান সৃজন’ শ্রেণিতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কারের জন্য যথাক্রমে মনিরা সুলতানা, গাজীপুর; কবিতা নাসরিন সৃষ্টি, ময়মনসিংহ এবং সাহানা নাসরিন, রাজশাহী মনোনীত হয়েছেন।
‘বন বিভাগ কর্তৃক সৃজিত বাগান’ শ্রেণিতে প্রথম ও দ্বিতীয় পুরস্কারের জন্য যথাক্রমে ধামইরহাট বিট, সামাজিক বন বিভাগ, রাজশাহী এবং চর আগস্তি ফরেস্ট ক্যাম্প, উপকূলীয় বন বিভাগ, পটুয়াখালী মনোনীত হয়েছে।
‘বৃক্ষ গবেষণা, সংরক্ষণ, উদ্ভাবন’ শ্রেণিতে প্রথম পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন মো. তাসলিমুল হক, গাজীপুর।
১৯৯৩ সাল থেকে চালু হওয়া এই পুরস্কারের প্রতিটি শ্রেণির পুরস্কার প্রাপ্তদের সনদপত্র এবং প্রথম স্থান অধিকারীকে ৩০ হাজার, দ্বিতীয় স্থান অধিকারীকে ২০ হাজার ও তৃতীয় স্থান অধিকারীকে ১৫ হাজার টাকার চেক দেওয়া হয়।