আবুল কাশেম রুমন,সিলেট: ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে টালমাটাল সিলেট। এর মধ্যে সোমবার (২৫ জুলাই) থেকে ১৩ ঘন্টার লোডশেডিংয়ের শিডিউলে জনমনে রীতিমত আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। ১৯ জুলাই থেকে শুরু হওয়া ১ ঘন্টা করে ৩ বার লোড শেডিংয়ের শিডিউল ঘোষণা করলেও কথা রাখতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। সিলেট নগর এলাকায় রোববার পর্যন্ত ৪ থেকে ৬ বার ৮ থেকে ১০ ঘন্টা লোডশেডিংয়ের ঘটনা ঘটে। এজন্য চাহিদার বিপরীতে অর্ধেকের কম সরবরাহকে দায়ী করছেন বিদ্যুৎ বিভাগ সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে,রোববার সিলেটে ২১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ করা হয় ৮৮ মেগাওয়াট। এর মধ্যে সিলেট জেলায় ১৪৫ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ হয় মাত্র ৫৯.৫ মেগাওয়াট। ফলে বাধ্য হয়ে ঘোষিত লোডশেডিংয়ের শিডিউল রক্ষা করতে পারছেনা বিদ্যুৎ বিভাগ। তাই সোমবার থেকে দৈনিক ১৩ ঘন্টার লোডশেডিংয়ের নতুন শিডিউল গণমাধ্যমে প্রেরণ করেছে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ।
এদিকে ৪ থেকে ৬ ঘন্টার লোড শেডিংয়ে হাসফাঁস করতে থাকা জনসাধারণ ১৩ ঘন্টা লোড শেডিংয়ের খবরে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। বেকায়দায় পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। রাত ৮টার মধ্যে দোকান বন্ধ করার বাধ্যবাধকতায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা এবার পথে বসার উপক্রম। দিনে ১৩ ঘন্টা লোডশেডিং হলে মানুষ বাসার বাইরে খুব একটা বের হবে না। এতে সবচেয়ে শেী ক্ষতিগ্রস্ত হবেন ক্ষদ্র ব্যবসায়ীরা। এছাড়া বেশী সময় লোডশেডিংয়ের প্রভাবে সকল সেক্টরে অস্থিরতা দেখা দিতে পারে।
এদিকে রোববারা রাতে ১৩ ঘন্টা লোডশেডিংয়ের নতুন শিডিউল প্রকাশ করেছে বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ, সিলেট-২।
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে দেশে কমেছে বিদ্যুৎ উৎপাদন। এ অবস্থায় বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে গত ১৯ জুলাই থেকে সিলেটসহ সারাদেশে এলাকাভিত্তিক ২৪ ঘণ্টায় ১-২ ঘণ্টা করে রুটিন লোডশেডিং করার নির্দেশ দেয় সরকার। এ লক্ষ্যে দিনে ও রাতে ২ ঘণ্টা করে ২৪ ঘণ্টায় মোট ৪ ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের শিডিউল প্রকাশ করেছিলো বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ, সিলেট।