সফিকুল ইসলাম রানা।
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার এখলাছপুর মেঘনা নদী থেকে ১৩ জন নৌ ডাকাত সদস্যকে আটক করেছে মোহনপুর নৌপুলিশ ৷ মেঘনা নদীতে ডাকাতি হচ্ছে এমন সংবাদ পেয়ে মোহনপুর নৌপুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ মোঃ মনিরুজ্জামান সংগীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় এখলাছপুর এলাকায় মেঘনা নদী থেকে জলদস্যুদের আটক করা হয় ৷
আটককৃতরা হলো- সাব্বির মিজি (২৩), পিতা মোস্তফা মিজি, মহিউদ্দিন সরকার,(৪১), পিতা চানমিয়া সরকার আল আমিন (২০), পিতা ফারুক গাজী, ইমরান (২২), পিতা শাহজালাল, ফিরোজ মিজি (২৬), পিতা সিরাজ মিজি, জীবন বেপারী (২০) পিতা জুলহাস বেপারী, আনেযার হোসেন (২৪), পিতা তোফায়েল আহমেদ, জহিরুল ইসলাম ( ২৭), পিতা মেহাম্মদ বেপারী, আক্তার হোসেন (২২), পিতা ইদ্রিস হাওলাদার, সাহিন মিয়া (২০), পিতা মোহাম্মদ বেপারী,সুজন বেপারী (২৭), পিতা মজিবুল বেপারী, কাসেম বেপারী (২৪), পিতা বাসেদ বেপারী, সালাউদ্দিন (২৮) পিতা আব্দুল হাওলাদার ৷ তাদের বাড়ি বিভিন্ন জেলা উপজেলায়।
পুলিশ ও ডাকাতদের গোলাগুলিতে সালাউদ্দিন নামে এক ডাকাত সদস্য গুরুতর আহত হওয়ায় তাকে মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি কর হয়। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
আটককৃত ডাকাতদের কাছ থেকে ২৬ টি স্মার্টফোন ও ৩৩ টি বাটন মোবাইলসহ মোট ৫৯ টি মোবাইল ফোন, ১০ টি রামদা, ২ টি পাইপ গ্যান, ৪ টি ছুরি, ১ টি সাবল, ৪ রাউন্ড গুলি, ৬টি বোমা এবং নগদ ২১ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে ৷
অতিরিক্ত নৌ পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন শিকদার প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান। তিনি আরও বলেন, এখলাছপুর এলাকায় এক দল ডাকাত ডাকাতি করছে বলে তথ্য পাওয়া যায়। পরে অভিযান চালানো হলে গোলাগুলি হয়। এক পর্যায়ে ডাকাতদের বোট সহ আটক করতে সক্ষম হই। পরে তাদের তল্লাশী করে মালামাল ও অস্ত্র পাওয়া গেছে। তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হবে। তাদের মধ্যে তিনজন একাধিক ডাকাতি মামলার আসামী। তারা সংঘবদ্ধ হয়ে ডাকাতি করে বেড়ায়। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন, চাঁদপুর নৌপুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ তোফাজ্জেল হোসেন, মোহনপুর নৌ পুলিশ ষ্টেশনের ইনচার্জ মোঃ মনিরুজ্জামান। মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, আটককৃতদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হবে।