মোহাম্মদ রায়হান বারিঃ নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জ শহরে মন্ডলপাড়ায় অবশেষে শুরু হতে যাচ্ছে মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজ। গত বছরের ১২ জানুয়ারী ওই মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর সেখানে আগে মন্ডলপাড়া জামে মসজিদের ওয়াকফ এস্টেট একটি মামলা করে দিলে মসজিদের কাজ আটকে যায়। ২৩ মে সোমবার জেলা প্রশাসন, সিটি করপোরেশন ও মসজিদ কমিটির লোকজনদের বৈঠকের পর জটিলতার সুরহা হয়। এদিন জেলা প্রশাসন থেকে ৪৩ শতাংশ জায়গা বুঝে পেয়েছেন গণপূর্ত অধিদপ্তর। জায়গা পেয়েই চারিদিক পিলার কাজ করেছে গণপূর্ত অধিদপ্তর ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন সহযোগিতা করছেন নাসিক।
সকালে মসজিদ কমিটির সাথে ২ ঘণ্টা রূদ্ধকার বৈঠকে বসেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) তোফাজ্জল হোসেন মানিকের নেতৃত্বে সদর উপজেলা ইউএনও, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, গণপূর্ত অধিদপ্তর ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এ সময় মসজিদ কমিটির সব দাবি মেনে নিলে সকল জল্পনা অবসান ঘটে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মন্ডলপাড়া মসজিদ কমিটির মোতওয়ালী সাখাওয়াত আহম্মেদ ইকবাল, সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী তারেক আহম্মেদ, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান মনির, বিভা হাসান, রিয়াদ হাসান, মেয়র পিএ আবুল হোসেন, গণপূর্ত অধিদপ্তরের নিবাহী প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর কাদির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস আহসান হাবিব, সাংগঠনিক সম্পাদক জি এম আরাফাত সহ বাবুরাইল ও দেওভোগে গণ্যমান্য লোকজন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) তোফাজ্জল হোসেন মানিক বৈঠকে জানান, ৩০ জুনের মধ্যে এই নারায়ণগঞ্জ মডেল মসজিদ নির্মাণ শুরু না হলে, বরাদ্দকৃত অর্থ চলে যাবে। তখন কিন্তু আপনারা একটি সুন্দর মসজিদ হারিয়ে ফেলবেন।
এছাড়া নারায়ণগঞ্জ মডেল মসজিদ কমিটির দাবিগুলো মেনে নিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষরা।
জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক কালচারাল সেন্টার চারতলা ভবন ও চারতলা ফাউন্ডেশন দেওয়া হবে। এখানে কয়েক হাজার নারী, পুরুষ একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারবেন। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। চলতি বছরেই এ মসজিদের নির্মাণকাজ শেষ হবে। এখানে নিচের তলায় হবে ইমাম ট্রেনিং সেন্টার, প্রতিবন্ধীদের জন্য নামাজের স্থান, লাশ গোসলের স্থান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বই ও পাঠাগার থাকবে। প্রথম তলায় প্রধান নামাজের স্থান ও অজুখানা থাকবে। দ্বিতীয় তলায় পুরুষ ও নারীদের জন্য নামাজের স্থান, সভা কক্ষ ও অজুখানা। তৃতীয় তলায় শুধু নারীদের জন্য নামাজের স্থান, হেফজখানা, ইমাম, শিক্ষক, খাদেম ও অতিথিদের জন্য রুম ও নারীদের অজুখানা। আর মসজিদটির জন্য ২০০ কেভিএ সাব স্টেশনের যন্ত্রাংশ, একটি ৪০ কেভিএ জেনারেটর, ৭৫টন এসি, সিসিটিভি, সোলার, বিএইচপি পাম্প মোটর থাকবে।