নিস্পত্তির অপেক্ষায় থাকা মামলার বিচার দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করার উদ্যোগ নিয়েছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেয়ার পরপরই দেশের সব আদালতে দীর্ঘ সময় ধরে অনিস্পন্ন থাকা মামলার বিচার শেষ করতে উদ্যোগ নেন প্রধান বিচারপতি। এ লক্ষ্যে হাইকোর্ট বিভাগের আটজন বিচারপতিকে দেশের আটটি বিভাগে নিষ্পত্তি না হওয়া মামলা মনিটরিংয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়।
সুপ্রিমকোর্টের মূখপাত্র ও আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান বলেন, সম্প্রতি দুই দশক এবং তারও বেশি সময় আগের বিচারাধীন মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির উদ্যোগ নিয়েছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। উচ্চ আদালতে বেঞ্চের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।সেসব মামলা নিষ্পত্তিতে অগ্রগতিও হচ্ছে।
সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসন থেকে সংশ্লিষ্ট জেলা আদালতগুলোতে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠানো হয়। অধস্তন আদালতের বিচারকদের দুই দশকের বেশী আগের মামলা নিষ্পত্তি করে হাইকোর্টে প্রতিবেদন পাঠাতে বলা হয়েছে।
আইনজীবীরা বলেছেন, দীঘ্র্ সময় ধরে মামলা বিচারাধীন থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বিচারপ্রার্থীরা। এতে বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। প্রধান বিচারপতির উদ্যোগের ফলে ন্যায়বিচার নিশ্চিতের পাশাপাশি বাড়বে বিচার বিভাগের ভাবমূর্তিও।
দেশের অধস্তন প্রতিটি দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত এবং ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন মামলার প্রকৃত সংখ্যা নির্ধারণের নির্দেশনাও দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
দেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী গত ৩১ ডিসেম্বর শপথগ্রহণ করেন।এর আগে ৩০ ডিসেম্বর তাকে দেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই বিচারপ্রার্থীদের দুর্ভোগ কমানোতে উদ্যোগ নেন। গত ২৭ জানুয়ারি আট বিভাগের জন্য হাইকোর্ট বিভাগের আটজন বিচারপতির নেতৃত্বে আটটি মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়। মনিটরিং কমিটি গঠনের পর দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারপতিরা বিভিন্ন আদালত পরিদর্শন করেন। সংশ্লিষ্ট জেলার বিচারকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। তাদের সমস্যার কথা শুনেছেন। গত ১৪ মার্চ জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে সাত দফা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে অধস্তন আদালতের বিচারকদের প্রতি। এতে অধস্তন আদালতের বিচার কার্যক্রমে গতি বেড়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।বাসস