মো: আহসানুল ইসলাম আমিন,স্টাফ রিপোর্টার : মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর ও লৌহজং এই দুই উপজেলার সীমান্তবর্তী রাস্তার প্রায় ৪ কিঃ মিঃ বেহালদশার কারনে চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে তিন ইউনিয়নের হাজার হাজার বাসিন্দা।
জেলার শ্রীনগর উপজেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ ইউনিয়ন কুকুটিয়া, লৌহজং উপজেলার বৌলতলী ইউনিয়নের নওপাড়া বাজার থেকে কুকুটিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সিন্দুরদি, খোদাইবাড়ী হয়ে ইউনিয়নের সীমান্ত ঘেঁষে লৌহজংয়ের কনকসার ইউনিয়নের নাগেরহাট পর্যন্ত প্রায় ৪ কিঃ মিঃ রাস্তার বেহাল দশার কারনে চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে দুই উপজেলার তিন ইউনিয়নের বাসিন্দারা। দীর্ঘদিন পূর্বে রাস্তাটি ইটের সলিং করা হলেও মাহিন্দ্র ও ড্রাম ট্রাক যোগে মালামাল আনা নেয়া করায় রাস্তায় দুই পাশ ধেবে গিয়ে মাঝখানে উচু যায় এবং রাস্তার মাঝখান থেকে থেকে ইট উঠে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় একেবারেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। কোন যানবাহন চলাচলতো দুরের কথা পায়ে হেঁটে চলাচল দুস্কর হয়ে পড়েছে।
কুকুটিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সিন্দুরদি,দত্তগাঁও, ভাটপাড়া,রানা, খোদাইবাড়ী, মুসলিমপাড়া, ৮নং ওয়ার্ডের পাঁচলদিয়া, ৬নং ওয়ার্ডের ঝাপুটিয়া,বনগাঁও, লৌহজংয়ের বৌলতলী ইউনিয়নের বৌলতলী, দক্ষিন চারিপাড়া,কনকসার ইউনিয়নের নাগেরহাটসহ কয়েকটি গ্রামের ২০/২৫ হাজার মানুষ এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে। অনেক মানুষের জীবিকা নির্ভর করে এ রাস্তার উপর। কিন্তু রাস্তার এ বেহালদশায় উপজেলা ও জেলা শহরে সাথে সড়ক পথে যোগাযোগ বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
সিন্দুরদি গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা জিতে রায় বলেন, কয়েকদিন আগে রাতের বেলায় আমার স্ট্রোক হয়েছিল। রাস্তার এমন বেহালদশার কারনে অটোর ঝাকিতে আমার ধম বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এর দুইদিন পর দত্তগাঁও গ্রামের বাদলের স্ট্রোক হয়েছিল তারই আমার মত অবস্থা হয়েছিল।
ভাটপাড়া গ্রামের অটো চালক লিটন বলেন, এই রাস্তায় দিয়ে আর গাড়ি চালানো সম্ভব না।অন্য কাজ খোজতে করতে হবে। স্থানীয় বাসিন্দা ও ৭নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, আপনাকে কি বলবো বলার কোন ভাষা আমার নেই। আপনি সামনে থাকলে বললে বুঝতে পারতেন এই রাস্তার বেহালদশার কারনে কি অবস্থায় আছি আমরা। কোন নারী এক/দুই মাসের মাতৃগর্ভ নিয়ে এরাস্তা দিয়ে চলাচলা করলে তার রাস্তায় ডেলিভারী হবে। শুধু এই রাস্তার কারনে এলাকার নারীরা গর্ভকালীন সময় তার পিত্রালয়ে গিয়ে বসবাস করে। যানবাহনতো দুরের কথা পায়ে হেঁটেও এই রাস্তা দিয়ে চলাচল দুস্কর হয়ে পড়েছে। আর এই ইউনিয়নের সব জায়গায় পাকা রাস্তা আছে একমাত্র আমার ওয়ার্ডে কোন পাকা রাস্তা নেই।
এ ব্যাপারে কুকুটিয়া ইউপি চেয়্যারমান বাবুল হোসেন বাবু বলেন, এই রাস্তা আর নাগরভাগ গ্রামের রাস্তার আইডি নাম্বার সহ আমি এমপি মহোদয়কে বলেছি যেন রাস্তা দুটো দ্রুত সংস্কার করে দেন।
শ্রীনগর উপজেলা প্রকৌশলী রাজিউল্লাহ বলেন, আমাদেরতো অনেক রাস্তা। আমি রাস্তা না দেখা পর্যন্ত কিছু বলতে পারবো না। রাস্তাটি আমাদের আইডি ভুক্ত কিনা দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছি।#