মেট্রোরেলে শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ পাস (অর্ধেক ভাড়া) কার্যকর, সহজে যাতায়াতের সুবিধার্থে স্টুডেন্ট র্যাপিড পাস প্রদান, ভাড়া কমানো এবং সর্বনিম্ন ভাড়া ১০ টাকা করার দাবিতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এই কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা ফার্মগেট এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। পরে তাঁরা শাহবাগে গিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
‘মেট্রোরেলে হাফ পাস চাই’ আন্দোলনের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র মুহাম্মদ প্রিন্স সাংবাদিকদের বলেন, ‘মেট্রোরেল হাফ পাস এখন শিক্ষার্থীদের গণদাবি। কিন্তু আমরা গণতান্ত্রিকভাবে আমাদের দাবি রাষ্ট্রের কাছে তুলে ধরতে গিয়ে পুলিশি বাধার সম্মুখীন হলাম, যা আমাদের বাক্স্বাধীনতার ওপর আঘাত। অথচ ১৯৬৯ সালের স্বৈরাচারী আইয়ুব খানবিরোধী আন্দোলনের ১১ দফার ১-এর (ঢ) উপধারা ছিল, শিক্ষার্থীদের হাফ পাস নিশ্চিত করতে হবে।’
মেট্রোরেলে হাফ পাস চাই আন্দোলনের যুগ্ম সমন্বয়ক আশরাফুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের প্রতি রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ, এমনকি প্রতিবেশী দেশ ভারতের গণপরিবহনেও রয়েছে।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় একজন শিক্ষার্থীকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে ২৫-৩০ বছর সময় লাগে। মেট্রোরেল আইন ২০১৫-এর ১৮(২) অনুযায়ী, পরিচালনা ব্যয় ও জনসাধারণের আর্থিক সামর্থ্য বিবেচনায় ভাড়া নির্ধারণ করা হবে। বিধিমালার ২২(খ) ধারায় বলা হয়েছে, বিবেচনায় নেওয়া হবে গণপরিবহনের ভাড়া। সেখানে ঢাকা মেট্রোর ২০ কিলোমিটারের ভাড়া ১০০ টাকা করা হয়েছে, ফলে মেট্রোরেল সাধারণ শিক্ষার্থীদের নাগালের বাইরে চলে গেছে।
কর্মসূচিতে তিন দফা দাবি উত্থাপন করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলো হলো মেট্রোরেলে শিক্ষার্থীদের হাফ পাস কার্যকর করতে হবে, শিক্ষার্থীদের সহজে যাতায়াতের সুবিধার্থে স্টুডেন্ট র্যাপিড পাস প্রদান করতে হবে এবং অতিরিক্ত ভাড়া কমানো ও সর্বনিম্ন ভাড়া ১০ টাকা করতে হবে।