নিউজ ডেক্স : বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলায় সূর্যমূখীর বাম্পার ফলনে কৃষকের মাঝে তীপ্তির হাসি ফুটেছে। মাঠে মাঠে হৃদয় জড়ানো সোনালীর সমারোহ। হাজার হাজার সূর্য যেন সকলকে হাত ছানি দিচ্ছে। সূর্যমুখী তেলের ব্যাপক চাহিদরা কারনে মোরেলগঞ্জে সূর্যমূকী চাষের আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের মাঝে। পতিত জমিতে স্বল্প ব্যয়ে অধিক ফলনে লাভবান হওয়ায় এ চাষে ঝুঁকছে চাষীরা।
উপজেলা কৃষি দপ্ত সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে উপজেলার ৩০ হেক্টর তথা ৭৫ একর জমিতে এবারে সূর্যমূখীর চাষ হয়েছে। দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশী সূর্যমূখী চাষ করেছে কৃষক। তেল ফসল প্রকল্পের মাধ্যমে সূর্যমূখী প্রদর্শণী রয়েছে ৩২টি। এছাড়াও ১০০ চাষীকে জন প্রতি ১ কেজি করে সূর্যমূখীর বীজ প্রনোদণা দেয়া হয়েছে।
গাজীরঘাট গ্রামের চাষী নুরুল ইসলাম ৬৬ শতকের ১ বিঘা জমিতে সূর্যমূখী চাষ করেছেন। এতে তিনি ১০মন ফলন পাবেন যার বলে ধারনা করছেন। যার মূল্য হবে ৯০ হাজার টাকা। তেল হবে ১৫০ কেজি। খরচ হয়েছে ১০ হাজার টাকা। একই গ্রামের ইদ্রিস সরদার ১ একর জমিতে ফসল ফলাতে ব্যয় হয়েছে ১৫ হাজার টাকা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. ওয়াসিম উদ্দিন বলেন, এ উপজেলায় এ বছরে ৭৫ একর জমিতে সূর্যমূখী চাষ হয়েছে। গত বছরে চাষীরা ৫০ একর জমিতে সুর্যমূখী চাষ করেছিলেন। অন্যান্য ভোজ্য তেলের চেয়ে সূর্যমূখী তেল আলাদা। কোলষ্টেরল মুক্ত এবং প্রচুর পরিমান প্রাণ শক্তি থাকায় এ তেল আমাদের শরীরের দুর্বলতা ও কার্যক্ষমতা বাড়ায়। রান্নায় সয়াবিন তেলের চাইতে এ তেল দশগুন বেশী পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ। তাই কৃষকদের দিন দিন সুর্যমূখী চাষে উদ্ভুদ্ধ হচ্ছে।