সম্প্রতি ইসরায়েলে হামাসের বড় হামলার মধ্য দিয়ে আবারও আলোচনার কেন্দ্রে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন প্রসঙ্গ। অভিযোগ ছিল, ইরান ও লেবাননের মিত্র হিজবুল্লাহর প্রশিক্ষণ ও সহযোগিতা ছাড়া এমন অভিযান চালানো হামাসের পক্ষে সম্ভব নয়। ইরান ও হামাস অভিযানে তেহরানের সরাসরি সংযোগ অস্বীকার করলেও এবার সেই চিন্তায় আগুনে ঘি ঢেলে দিল ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এবার খোলামেলাভাবে হামাসের দেওয়া বন্দি বিনিময়ের শর্ত নিয়ে হাজির ইরান। সেই সঙ্গে ইরান জানিয়েছে, এখনো যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার মতো যথেষ্ঠ রসদ আছে হামাসের কাছে।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) টাইমস অব ইসরায়েলের বরাত এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি তেহরানে এক সংবাদ সম্মেলনে চলমান সংকট নিয়ে কথা বলেন। তার বক্তব্য অনুযায়ী, হামাস ও বিভিন্ন প্রতিরোধ আন্দোলন গ্রুপ যেসব মানুষদের বন্দি করেছিলেন তাদের ছেড়ে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকলেও গাজায় প্রাত্যহিক বোমাবর্ষণের কারণে সেসব আলোচনা সম্ভব হয়নি। কেননা এমন পরিস্থিতিতে কোনো আলোচনা সম্ভব নয়।
হামাস কোন প্রকার বিবৃতি না দিলেও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বলেছে, হামাস যদি বিমানহামলা বন্ধ করত তাহলে হামাস ২০০ বন্দিকে মুক্ত করে দিতে প্রস্তত ছিল।
মুখপাত্র নাসের কানানি জানান, হামাস বলেছে ইসরায়েলিরা হাজারো ফিলিস্তিনিদের বন্দি করেছে। তাদের মুক্তির বিনিময়ে হামাস ইসরায়েলি বন্দিদের ছেড়ে দিতে রাজি আছে। এতদিন ইসরায়েলিরা যেমন একতরফা বন্দি বিনিময় করে এসেছে সেভাবেই এবার হামাস বন্দি বিনিময় করতে ইচ্ছুক।
তিনি বলেন, আমরা হামাসের কাছ থেকে খবর পেয়েছি যে তারা প্রতিরোধ চালু রাখবে। এখনো যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার মতো যথেষ্ঠ রসদ তাদের রয়েছে।