রাজশাহী:- রাজশাহীতে পোশাকের পরে এবার জমে উঠেছে জুতা স্যান্ডেলের কেনাবেচা। এবার চটি স্যান্ডেলের প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি দেখা গেছে। ক্রেতাদের নজর কাড়ছে লুঙ্গি ড্যন্সি, তাকানো চটি, আর্জেন্টিনা, কলাপরি, বেগীসহ চায়না চটি। ১৫০ থেকে ৭০০ টাকার মধ্যে সিমাবদ্ধ রয়েছে এ স্যানেডল গুলোর দাম।
পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে জুতা-স্যান্ডেল পরা এখন শুধু মেয়েদের মধ্যে সিমাবদ্ধ নেই। নিজেকে আকর্ষনীয় করে তুলে ধরতে ছেলে-মেয়ে সকলেই এখন তৎপর। ঈদকে ঘিরে পোশাকের পাশাপাশি জুতা-স্যান্ডেলের দোকানগুলোতে জমে উঠেছে বেচাকেনা। সাহেব বাজার ভূবনমোহন পার্ক সংলগ্নসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে লক্ষ করা যায় ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়।
বাটা, এপেক্স, লোটোসহ দামি ব্যান্ডের দোকানের চেয়ে স্যান্ডেল পট্টিতে দেখা গেছে ক্রেতাদের অনেকটা ভিড়। গতবছর বাহুবালি-২ স্যান্ডেল ছিল ছেলেদের পছন্দের শীর্ষে। এ বছর রেস-থ্রি, ক্যান্ডেল, গ্যাম্বল, ফিলা, ক্যাঙ্গারুর বিশেষ চাহিদা আছে বরলে জানান বিক্রেতারা। ১৫০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে বাহারি চটিগুলো। সব বয়সের ক্রেতাদের ভীড়ে জমে উঠেছে বেচাকেনা।
বিক্রি বেশি হওয়াতে যেমন খুশি বিক্রেতারা তেমনি তুলনামুলক কম দামে জুতা স্যান্ডেল কিনতে পেরে খুশি ক্রেতারা। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের শো-রুমগুলোতে চড়া দাম জুতা স্যান্ডেলের। সাধ্যের মধ্যে পরিবারের সদস্যদের জন্য জুতা-স্যান্ডেল কিনতে তাই স্যান্ডেল পট্টিতে ভীড় করছেন ক্রেতারা।
স্যান্ডেল পট্টিতে জুতা কিনতে এসেছিলেন আসা। আসা বলেন, চটি আমার পছন্দের স্যান্ডেল। স্যান্ডেল পট্টিতে তুলনামূলক কম দামে বিভিন্ন মডেলের স্যান্ডেল পাওয়া যায়। বাটা বা এ্যাপেক্সে এত ডিজাইনের জুতা পাওয়া যায়না। এজন্যই স্যান্ডেল কিনতে এখানে এসেছি। গত বছরের তুলনায় প্রতিটি সেন্ডালের দাম একটু বেশি থাকলেও আমাদের সাধ্যের মধ্যেই আছে দাম।
আরেক ক্রেতা রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্র ইসমাইল হোসেন বলেন, আমি রাজশাহীর বাসিন্দা। আমার যত জুতা স্যান্ডেল সব এখান থেকেই কিনি। বলতে গেলে এটি রাজশাহীর সবচেয়ে বড় জুতা-স্যান্ডেলের মার্কেট। আর এখানে কম দামে যত মডেলের জুতা পাওয়া যায় তা বাটা বা এ্যাপেক্সের শোরুমে তা পাওয়া যায়না।
এছাড়াও নগরীর লক্ষীপুর, বাটার মোড়, নিউ মার্কেট, উপশহর নিউ মার্কেট, আলুপট্টি, বিনোদপুরসহ বিভিন্ন মোড়ে জুতা-স্যান্ডেলের পাশাপাশি ফুটপাতে বসেছে অস্থায়ী জুতা-স্যান্ডেলের দোকান।