ভারতীয় কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলায় দায়ের হওয়া ২ বছরের সাজা স্থগিত করেছে আদালত। পাশাপাশি এই মামলায় তাকে জামিন দিয়েছেন বিচারক। আপিল শুনানির দিন ঠিক হয়েছে ১৩ এপ্রিল। শুনানির পর তার সাজার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
সোমবার দুপুরে গুজরাটের সুরাটের ডিস্ট্রিক্ট অ্যান্ড সেশন কোর্ট এ আদেশ দেন।
এদিন রাহুলের সঙ্গে আদালতে উপস্থিত ছিলেন বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এবং কংগ্রেসের নেতারা। তাদের মধ্যে ছিলেন কংগ্রেসশাসিত তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট, ভূপেশ বাঘেল ও সুখবিন্দর সিং সুখু।
বোন ও কংগ্রেস নেতাদের নিয়ে রাহুলের সুরাটে যাওয়ার ঘটনাকে বিচারব্যবস্থার ওপর চাপ প্রয়োগের ‘শিশুসুলভ প্রচেষ্টা’ বলে সমালোচনা করেছে বিজেপি।
‘মোদি’ পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের দায়ে গত ২৩ মার্চ ৫২ বছর বয়সি রাহুলকে দুই বছরের সাজা দেন আদালত।
এ রায় ঘোষণার মাত্র এক দিন পরই লোকসভায় রাহুলকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। এর ফলে লোকসভায় তার সদস্য পদ খারিজ হয়ে যায়।
রাহুলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলাটি হয়েছিল ২০১৯ সালে। ওই সময় লোকসভা নির্বাচনের প্রচারণায় তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘চৌকিদার চোর হ্যায়।’ তিনি আরও বলেছিলেন, ‘সব মোদি কেন চোর হয়। সব চোরের পদবি কীভাবে মোদি হয়।’
রাহুলকে সাজা দেওয়ার পরদিন ১৪টি রাজনৈতিক দল যৌথভাবে সুপ্রিম কোর্টে একটি পিটিশন করে। এতে বলা হয়, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। আদালত ৫ এপ্রিল আবেদনের বিষয়ে শুনানি করতে সম্মতি দিয়েছেন।
রাহুলের সংসদ সদস্য পদ খারিজের সিদ্ধান্ত বিরোধীদের বেশ কিছুটা কাছাকাছি এনে দিয়েছে। ‘গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনে’ বিরোধী ঐক্য স্থাপনে ২৭ মার্চ কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের ডাকা বৈঠকে আরও ১৬টি দলের নেতারা যোগ দেন।