রাম বসাক শাহজাদপুর, সিরাজগঞ্জ
একদল বখাটে যুবকদের ইয়ার্কি-ফাজলামি করতে বারণ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে তারা ৬০ বছর বয়সী মানোদা কান্ত লাহিড়ী নামের এক প্রবীণ সংখ্যালঘুকে অমানবিকভাবে মারপিট ও নির্যাতন করেছে। হামলার শিকার মানোদা এ সময় বমি করেন ও তার নাক-মুখ দিয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হলে জ্ঞান হারিয়ে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। খবর পেয়ে তার স্বজনেরা আশংকাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে শাহজাদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে তার শারীরীক অবস্থার আরও অবনতি ঘটে। পরে তাকে বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতাল ও পরে ঢাকার ধানমন্ডিস্থ ইবনে সিনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জ্ঞান না ফেরায় সেখানে তাকে আইসিইউ এর লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। অমানবিক ও বর্বরোচিত এ ঘটনাটি ১৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের গুধিবাড়ি মহল্লায় ঘটেছে।
এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের গুধিবাড়ি মহল্লার মশিউর রহমানের ছেলে ছেলে আবির (২২) ও সনি (১৮)সহ বেশ কয়েকজন বখাটে যুবক মানোদা কান্ত লাহিড়ীর বাড়ির সামনে সড়কে ইয়ার্কি-ফাজলামি করতে থাকে। এ সময় বয়োজ্ব্যেষ্ঠ মানোদা তাদের বারণ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে তারা আবির ও সনির বাবা মশিউর রহমানের নিকট বাদী হলে মশিউর রহমান মানোদাকে ফোন করে মশিউর রহমানের বাড়ির সামনে ডেকে নেয়। মানোদা সেখানে পৌঁছানো মাত্রই মশিউর রহমানের নির্দেশে তার ২ বখাটে ছেলে আবির (২২),সনি (১৮) ও তাদের সহযোগী কয়েকজন বখাটে যুবক লাঠিসোটা, ক্রিকেট খেলার স্ট্যামসহ দেশীয় ধারালো অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে সংখ্যালঘু মানোদা কান্ত লাহিড়ীর ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকে। এক পর্যায়ে মানোদার নাক মুখ দিয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হলে তিনি জ্ঞান হারিয়ে মাটিতেপড়ে যান। বর্তমানে ঢাকার ধানমন্ডিস্থ ইবনে সিনা হাসপাতালের আইসিইউ এর লাইফ সাপোর্টে মানোদা মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তার জ্ঞান ফেরেনি বলে জানা গেছে।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে অনতিবিলম্বে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন ‘বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ’ শাহজাদপুর পৌর শাখার বিপ্লবী সাধারন সম্পাদক ও বাংলা খবর বিডি’র প্রকাশক মানিক সরকারসহ স্থানীয় সনাতনী নেতৃবৃন্দ।