ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শেখ হাসিনার রায়ের কপি আজ যাবে স্বরাষ্ট্র-পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে

সাংবাদিক

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দোষী সাব্যস্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রদত্ত মৃত্যুদণ্ডের রায়ের কপি আজ মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করা হবে। এছাড়া পুলিশের মহাপরিদর্শক ও মামলার রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের কাছেও রায়ের কপি পাঠানো হবে।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত অপরাধের জন্য শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। একই মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালকেও মৃত্যুদণ্ড দেয় ট্রাইব্যুনাল। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করে।

রায়ে ট্রাইব্যুনাল উল্লেখ করেন যে, শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। দুটি অভিযোগে শেখ হাসিনাকে এবং একটি অভিযোগে আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, রাজসাক্ষী হওয়ায় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

এর আগে, গত ১ জুন শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। মোট পাঁচটি অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করা হয়। অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে-গত বছরের ১৪ জুলাই গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান, হেলিকপ্টার, ড্রোন ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের নির্মূল করার নির্দেশ প্রদান, রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যা, রাজধানীর চানখাঁরপুল এলাকায় ছয় আন্দোলনকারীকে গুলি করে হত্যা এবং আশুলিয়ায় ছয়জনকে পোড়ানোর অভিযোগ।

মামলার তিন আসামির মধ্যে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামাল পলাতক রয়েছেন। তবে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন এই মামলার একমাত্র গ্রেফতারকৃত আসামি। গত ১০ জুলাই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের দিন তিনি গণঅভ্যুত্থানের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন এবং রাজসাক্ষী হওয়ার আবেদন করেন।

 

ট্যাগ :

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ০৬:১০:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
৫১০ Time View

শেখ হাসিনার রায়ের কপি আজ যাবে স্বরাষ্ট্র-পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে

আপডেটের সময় : ০৬:১০:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দোষী সাব্যস্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রদত্ত মৃত্যুদণ্ডের রায়ের কপি আজ মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করা হবে। এছাড়া পুলিশের মহাপরিদর্শক ও মামলার রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের কাছেও রায়ের কপি পাঠানো হবে।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত অপরাধের জন্য শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। একই মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালকেও মৃত্যুদণ্ড দেয় ট্রাইব্যুনাল। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করে।

রায়ে ট্রাইব্যুনাল উল্লেখ করেন যে, শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। দুটি অভিযোগে শেখ হাসিনাকে এবং একটি অভিযোগে আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, রাজসাক্ষী হওয়ায় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

এর আগে, গত ১ জুন শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। মোট পাঁচটি অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করা হয়। অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে-গত বছরের ১৪ জুলাই গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান, হেলিকপ্টার, ড্রোন ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের নির্মূল করার নির্দেশ প্রদান, রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যা, রাজধানীর চানখাঁরপুল এলাকায় ছয় আন্দোলনকারীকে গুলি করে হত্যা এবং আশুলিয়ায় ছয়জনকে পোড়ানোর অভিযোগ।

মামলার তিন আসামির মধ্যে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামাল পলাতক রয়েছেন। তবে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন এই মামলার একমাত্র গ্রেফতারকৃত আসামি। গত ১০ জুলাই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের দিন তিনি গণঅভ্যুত্থানের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন এবং রাজসাক্ষী হওয়ার আবেদন করেন।