করোনা ভাইরাসের চতুর্থ ঢেউ মোকাবিলা করতে মাস্ক পরার কোন বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ।
হাত ধোয়ার অভ্যাস চর্চা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। কভিডের নতুন ধরন যথাযথভাবে মোকাবিলা করার জন্য দ্রুত টিকা গ্রহণের আহ্বানও জানান।
ডা. আব্দুল্লাহ বলেন, করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন দ্রুত ও ব্যাপকভাবে ছড়ায়। আক্রান্ত ব্যক্তি প্রায় ১০ জনকে সংক্রমিত করতে পারে। তবে সংক্রমণের হারে বৃদ্ধি পেলেও আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
আরও জানান, করোনা ভাইরাসের চতুর্থ ঢেউ মোকাবিলায় লকডাউনের মতো পদক্ষেপের প্রয়োজন পড়বে না। তবে, বেপরোয়াভাবে চলাচল বা স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করা যাবে না।
সোমবার ইউজিসি আয়োজিত ‘করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি ও করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে মূল আলোচক হিসেবে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ইউজিসির সিনিয়র সহকারী পরিচালক ও এপিরর ফোকাল পয়েন্ট মো. গোলাম দস্তগীরের সঞ্চালনায় সেমিনারে ইউজিসির উপপরিচালক, সিনিয়র সহকারী পরিচালক, সহকারী পরিচালক ও সমপর্যায়ের ৪০ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।
দেশের প্রখ্যাত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, নাকে নেওয়ার কভিড ঔষধের ট্রায়াল শিগগির দেশে শুরু হতে পারে। বাংলাদেশ ও সুইডেনের যৌথ উদ্যোগে এই ঔষধ বাংলাদেশে তৈরি হবে। এই টিকা করোনা ভাইরাসের সব ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধেই প্রায় শতভাগ কার্যকর হবে এবং এটি মানুষকে অনেক বেশি সুরক্ষা দেবে বলে তিনি জানান।
তিনি আরও বলেন, শিগগির ৫ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের করোনা ভাইরাসের টিকার আওতায় নিয়ে আসার বিষয়টি সরকারের পরিকল্পনায় রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অভিমত অনুযায়ী ৫ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের ফাইজারের টিকা দেওয়া হবে।
প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের করোনা থেকে সুরক্ষা পেতে সবাইকে দ্রুত টিকা নেওয়া এবং করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি কার্যক্রমের মাধ্যমে জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধির ওপর জোর প্রদান করেন। তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের কারণে বিশ্বে বাংলাদেশ সাফল্যের শীর্ষে রয়েছে।