দেশের সীমানা পার হয়ে আরেক দেশে ঢুকতে প্রথম যে জিনিসটি দরকার, তা হলো পাসপোর্ট। ভিন্ন ভিন্ন দেশের পাসপোর্টের সুযোগ-সুবিধা ভিন্ন রকম। এ বিবেচনায় সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্টের তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করেছে জাপানের পাসপোর্ট।
বিশ্বের ১৯৩টি দেশে ভিসা ছাড়া বা অন-অ্যারাইভাল ভিসা দিয়ে প্রবেশ করতে পারেন জাপানের পাসপোর্টধারীরা। লন্ডনভিত্তিক বৈশ্বিক নাগরিকত্ব এবং আবাসিক অ্যাডভাইজরি সংস্থা হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে সম্প্রতি এ তথ্য দিয়েছে।
টানা পাঁচ বছর বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্টের তালিকায় শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে জাপান। আর তালিকায় সবচেয়ে নিচে থাকা দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে আফগানিস্তান, ইরাক ও পাকিস্তানের মতো দেশগেুলো।
তালিকায় ১০১ নম্বরে আছে বাংলাদেশের নাম। সবমিলিয়ে ৪১টি দেশে ভিসা ছাড়া বা অন-অ্যারাইভাল ভিসায় ঢুকতে পারেন এ দেশের পাসপোর্টধারীরা।
কয়টি দেশে নির্দিষ্ট একটি রাষ্ট্রের পাসপোর্ট ব্যবহার করে প্রবেশাধিকার পাওয়া যায়, তার ভিত্তিতেই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। যে দেশের পাসপোর্টে কম সময়ে ভিসা পাওয়া যায় বা ভিসা ছাড়াই বিদেশে প্রবেশের অনুমতি পাওয়া যায়, সে দেশের পাসপোর্টকে শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
বিশ্বের ২২৭টি দেশের মধ্যে ভিসা ছাড়া বা অন-অ্যারাইভাল ভিসাায় যাওয়ার সুযোগ পাওয়া জাপানের পর এ তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে আছে সিঙ্গাপুর ও সাউথ কোরিয়া। এ দু দেশের পাসপোর্টে ১৯২টি দেশে এ সযোগ মেলে।
জার্মানি ও স্পেনের ভিসায় ওই সুযোগ মেলে ১৯০টি দেশে। অস্ট্রেলিয়া ও কানাডার ভিসায় যাওয়া যায় ১৮৯টি দেশে।
এ ছাড়া তালিকায় পেছনের দিকে আছে আফগানিস্তান,পাকিস্তান,ইরাক ও সোমালিয়ার মতো দেশগুলো। এসব দেশের পাসপোর্টে ৩০ বা এর কাছাকাছি দেশে ভিসা ছাড়া বা অন-অ্যারাইভাল ভিসায় ঢোকা যায়।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, মূলত ইউরোপীয় দেশগুলোই এই তালিকায় ওপরের দিকে থাকত। কিন্তু করোনা মহামারির পর থেকে নানা জায়গায় বিদেশি নাগরিকদের প্রবেশধিকারে বিধি-নিষেধ থাকায় পিছিয়ে পড়েছে এ দেশগুলো।