মালিকের অনুমতি ছাড়াই এখন থেকে “হুরুব” স্ট্যাটাস বাতিল করতে পারবেন সৌদি প্রবাসীরা। সৌদি মানবসম্পদ এবং সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে নির্দিষ্ট কিছু শর্তে হুরুর স্টাটাস পরিবর্তন করা যাবে।
শ্রম মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী আবদুল মাজিদ আল-রুশুদি জানিয়েছেন, এখন থেকে নির্দিষ্ট কিছু শর্তে মালিকের অনুমতি ছাড়াই প্রবাসী কর্মীর “হুরুব” স্ট্যাটাস বাতিল করা যাবে। শর্তগুলো হচ্ছে
প্রথমত, যদি মালিকের প্রতিষ্ঠানকে “অবাস্তবিক (non existent)” হিসেবে প্রদর্শন করা হয়, তবে তার অধীনে ইস্যুকৃত প্রবাসী কর্মীর হুরুব স্ট্যাটাস বাতিল করা যাবে।
দ্বিতীয়ত, যদি কোম্পানি বা মোয়াচ্ছাছা বন্ধ হবার পর ৩০ দিনের মধ্যে যদি পুনরায় নতুন করে খোলা না হয়, হুরুব কার্যকরী থাকবে না।
তৃতীয়ত, যদি কোন মালিকের প্রতিষ্ঠান রেড জোনের মাঝে পড়ে এবং মালিক তার প্রতিষ্ঠানের ৭৫% এর চেয়ে কম সংখ্যক কর্মীর কাজের কন্ট্রাক্ট মন্ত্রণালয়কে প্রদান করে থাকেন, তাহলে প্রবাসী হুরুর প্রাপ্ত কর্মীর হুরুব বাতিল হয়ে যাবে।
এছাড়া যদি প্রতিষ্ঠানটি রেড জোনে পড়ে এবং ৮০% এর কম সংখ্যক কর্মীর বেতনের ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানটি মন্ত্রণালয়কে কোন প্রতিজ্ঞা না করে থাকে, তবে উক্ত প্রতিষ্ঠান কর্মীর নামে ইস্যু করা হুরুব বাতিল হয়ে যাবে।
সৌদির শ্রম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যদি কোন প্রতিষ্ঠান তাদের প্রবাসী কর্মীকে ট্রান্সফার করে দিতে ইচ্ছুক থাকে, তবে তাদের বেশকিছু শর্ত পূরণ করতে হবেঃ
ক) যে কর্মী নিজের ওয়ার্ক কন্ট্রাক্ট ট্রান্সফার করতে ইচ্ছুক, তাকে এই ট্রান্সফার এর সকল খরচ বহন করতে হবে এই মর্মে একটি ইলেকট্রনিক সার্টিফাইড চিঠি জারি করতে হবে প্রতিষ্ঠানকে।
খ) প্রতিষ্ঠানকে কর্মীদের সেবা ট্রান্সফার করার জন্য প্রয়োজনীয় সকল নির্দেশনা এবং বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে। মালিকের নতুন প্রতিষ্ঠানে উক্ত প্রবাসী কর্মীকে ট্রান্সফার করতে চাইলে শ্রম আইনের ১৫ নং অনুচ্ছেদ এর শর্তবালী পূরণ করতে হবে।এদিকে বিদেশি কর্মীদের হটিয়ে একে একে স্থানীয় নাগরিকদের চাকরি দিচ্ছে সৌদি সরকার। প্রবাসীদের বাদ দিয়ে সৌদি নাগরিকদের চাকরি দেওয়ার জন্য নতুন পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। আরও ৩৩ হাজার প্রবাসীর পরিবর্তে সৌদি নাগরিকদের নিয়োগ দেয়া হবে। খবর সৌদি গেজেটের।