কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: দরিদ্র পরিবারে বেড়ে উঠা মিঠু মিয়া (২০) নামের এক যুবকের নাম। গ্রামের আট দশজন ছেলের মতো স্বাভাবিক জীবন যাবন করছিলেন সে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খেলাধুলা ও আচার আচরণে কোন কমতি ছিল না তার। অভাবের সংসারে হাল ধরতে এসএসসি পাশ পারি জমান রাজধানী ঢাকায়। চাকরি নেন একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে।
তবে বছর খানেক আগে চাকরিরত অবস্থায় হরমোনজিনত রোগে আক্রান্ত হয়ে দু পা অচল হয়ে যায় তার। ফিরে আসেন গ্রামের বাড়িতে। যে মিঠু একসময় ফুটবলের মাঠ কাঁপাত সে এখন জরাজীর্ণ শরীর নিয়ে শুয়ে থাকে বিছানায়। হাঁটা চলা তো দুরে কথা বাইরে বের হতে পারে না। দিনমজুর বাবার সার্মত্য না থাকায় হচ্ছে না ঠিকমত চিকিৎসা।
সে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের কালিরপাট এলাকার দিনমজুর মোঃ ফজলুল রহমানের ছেলে। দীর্ঘ দিন ধরে মিঠু মিয়া আকুতি ছিল একটি হুইল চেয়ার। আর এবিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে প্রকাশ হলে হাছেন আলী ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের নজরে আসলে একটি হুইল চেয়ার পান মিঠু মিয়া।
আজ শুক্রবার (২৯ জুলাই) বিকেলে মিঠু মিয়ার বাড়ি গিয়ে একটি হুইল চেয়ার উপহার দেন হাছেন আলী ফাউন্ডেশন নামের একটি সামাজিক সংগঠন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বড়ভিটা ইউনিয়নের (ইউপি) আতাউর রহমান মিন্টু, হাছেন আলী ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ হাছেন আলী ও স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ।
হুইল চেয়ার পেয়ে মিঠু মিয়া বলেন, হাছেন আলী ফাউন্ডেশনকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। কারন বাহিরে চলাফেরার জন্য আমার একটা হুইল চেয়ারের বিশেষ দরকার ছিল। আজ একটা হুইল চেয়ার পেয়েছি আমি কৃতজ্ঞ তাদের কাছে।
ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, “হাছেন আলী ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন সম্পূর্ণ একটি অরাজনৈতিক ও অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। এই ফাউণ্ডেশন দেশের বিভিন্ন জেলায় সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে। যেমন: মেধাবী শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা, সামাজিক বৃক্ষরোপণ , অসহায় ও দরিদ্র মানুষের মধ্যে খাদ্য বিতরণ এবং অসচ্ছল পঙ্গু মানুষের মধ্যে হুইলচেয়ার বিতরণ আমাদের একটি চলমান প্রক্রিয়া।