প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ১৩ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা সদস্যদেরকে সংবর্ধনা দিয়েছে রাজধানীতে কর্মরত পেশাদার রিপোর্টারদের সবচেয়ে বড় সংগঠন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)।
বৃহস্পতিবার সরকারের সমন্বিত তালিকা অনুযায়ী ১৩ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা ডিআরইউ সদস্যের হাতে সম্মাননা স্মারক ও উত্তরীয় তুলে দেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক।
সংবর্ধনা প্রাপ্তরা হলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃণাল কৃষ্ণ রায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহম্মদ শফিকুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন হাবীব, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাক আহমেদ মোবারকী, বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল বাশার চপল, বীর মুক্তিযোদ্ধা কার্তিক চ্যাটার্জী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আকরাম হোসেন খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বপন দাশ গুপ্ত, বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান সরদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা তালুকদার হারুন, বীর মুক্তিযোদ্ধা শংকর কুমার দে ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হালিম আজাদ।
‘ঐক্য ও অগ্রগতির ২৭ বছর’-এই স্লোগান সামনে রেখে পালিত হয়েছে ডিআরইউর ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। বৃহস্পতিবার ডিআরইউ প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা, বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্বোধন করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি।
সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিবের সঞ্চালনায় এ সময় সংগঠনের পতাকা উত্তোলন করেন ডিআরইউ সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু।
ডিআরইউর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ বছর ব্যতিক্রমী আয়োজন ছিল বীর মুক্তিযোদ্ধা সদস্যদের সংবর্ধনা দেয়া।
নসরুল হামিদ মিলনায়তনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সাংবাদিকরা দেশে-বিদেশে বিশ্ব জনমত গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণভূমিকা পালন করেন। জাতি এ বীরদের আজীবন স্মরণ করবে। যারা কলম সৈনিক, তারাও মুক্তিযোদ্ধা। যারা চরমপত্র লিখেছেন, তারাও মুক্তিযোদ্ধা। কারণ মুক্তিযোদ্ধা শুধু একদিক থেকে নয়, সার্বিক দিক থেকে সবকিছু মিলিয়েই মুক্তিযোদ্ধা।
সংবর্ধনা পাওয়ার অনুভূতি জানিয়ে এবং স্মৃতিচারণ করে বীর মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশেবিদেশে যে সাংবাদিকতা হয়েছিল সে সম্পর্কেনতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে। দালিলিকভাবে ইতিহাস সংরক্ষণ করতে হবে। গণমাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের যারা জীবিত আছেন তাদের মূল্যায়ন করতে হবে। প্রজন্মের পর প্রজন্মে মুক্তিযোদ্ধাদের গৌরব প্রবাহিত হবে বলেও এ সময় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা।
ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিবের সঞ্চালনায় সভাপতির বক্তব্যে নজরুল ইসলাম মিঠু বলেন, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে সাংবাদিকদের ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য। তাদের মধ্যে অনেকেই সামনের সারিতে থেকে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে জীবন বাজি রেখে ছিলেন। তাদের সম্মান করতে পেরে আমরা গর্বিত।
২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন কমিটির আহবায়ক ও ডিআরইউর সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল কাফি এবং প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ও ডিআরইউর প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কামাল উদ্দিন সুমন এসময় উপস্থিত ছিলেন।