বোলারদের নৈপুণ্যে শক্তিশালী ভারতীয় দলের পুঁজিটা একশর আগেই থামিয়ে আশা জাগিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু আরও একবার ব্যর্থ ব্যাটাররা। অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি ছাড়া পারলেন না কেউ দায়িত্ব নিতে। ফলে আরও একটি হারে সিরিজ খোয়াল বাংলাদেশের মেয়েরা।
মঙ্গলবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশকে ৮ রানে হারিয়েছে ভারত। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯৫ রান করে সফরকারীরা। জবাবে শেষ বল পর্যন্ত খেলে ৮৭ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।
সিরিজের প্রথম ম্যাচেও ব্যাটাররা ছিলেন ব্যর্থ। এদিন প্রতিপক্ষ একশর আগে আটকে রেখেও সুযোগ লুফে নিতে পারলো না মেয়েরা। বাংলাদেশ যতটুকু লড়েছে এক অধিনায়ক নিগারের কল্যাণে। কিন্তু তার বিদায়ের পর মাত্র ১ রান তুলতে শেষ পাঁচটি উইকেট উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
লক্ষ্য তাড়ায় এদিন শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দলীয় ১০ রানেই ভাঙে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি। দুই ওপেনার শামিমা সুলতানা ও সাথি রানী আউট হয়েছেন ব্যক্তিগত ৪ রানে। কনকাশন সাব হিসেবে নামা মুর্শিদা খাতুনও হতাশ করেন। ব্যক্তিগত ৪ রানে আউট হয়েছেন। তবে বল নষ্ট করেছেন ১৫টি। হতাশ করেন রিতু মনিও। ব্যক্তিগত ৪ রানে মানির বলে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়েছেন।
তবে এক প্রান্ত আগলে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন নিগার। তাকে কিছুটা সঙ্গ দেন স্বর্ণা আক্তার। তার সঙ্গে ৩৪ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক। বোলার দিপ্তি শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়ে স্বর্ণা সাজঘরে ফিরলে ভাঙে এ জুটি। এরপর নাহিদা আক্তারের সঙ্গেও ২২ রানের জুটি গড়েছিলেন নিগার। কিন্তু এরপর হঠাৎ করেই ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৮ রানের ইনিংস খেলেন নিগার। ৫৫ বলে ২টি চারের সাহায্যে এ রান করেন তিনি। এছাড়া আর কোনো ব্যাটার পারেননি দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে। শেষ চারজনের কেউ খুলতে পারেননি রানের খাতা। ভারতের পক্ষে ১২ রানের খরচায় ৩টি উইকেট পান দিপ্তি। ১৫ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট নেন শেফালি। ২টি শিকার মানির।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো ছিল ভারতের। ৩৩ রানের ওপেনিং জুটি গড়েন দুই ওপেনার শেফালি ভার্মা ও স্মৃতি বন্দনা। তখন বেশ সাবলীলভাবেই ব্যাটিং করছিলেন এ দুই ওপেনার। তবে এ জুটি ভেঙেই দারুণভাবে ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ।
প্রথম ধাক্কাটা দেন নাহিদা আক্তার। বোল্ড করে দেন স্মৃতিকে। পরের ওভারে আরেক ওপেনার শেফালিকে ফেরান সুলতানা। পরের বলে বড় ধাক্কাটা দেন এই অফস্পিনার। রানের খাতা খোলার আগেই বোল্ড করে দেন ভারতীয় অধিনায়ক হারমানপ্রিত কউরকে। তাতে সফরকারীদের চেপে ধরেন টাইগ্রেসরা।
সে চাপ আর উতরে উঠতে পারেনি ভারত। বাংলাদেশি বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারিয়েছে তারা। ফলে কোনো ব্যাটারই পারেননি দায়িত্ব নিতে। সপ্তম উইকেটে আমারজট কউরের সঙ্গে দিপ্তি শর্মার ২১ রানের জুটিতে মাঝারী পুঁজি মিলে সফরকারীদের।
ভারতের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৯ রানের ইনিংস খেলেন শেফালি। এছাড়া আমানজট করেন ১৪ রান। বাংলাদেশের পক্ষে ২১ রানের খরচায় ৪টি উইকেট নেন সুলতানা। ১৬ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট পান ফাহিমা খাতুন।