ঢাকা , সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অপকর্মের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি বিএনপির

সাংবাদিক

সরকারের ‘চিরুনি অভিযান’ শুরুর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি। তবে অভিযান যেন বিশেষ কোনো রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে না হয়, সেটা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।

দলের শৃঙ্খলা বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে বিএনপি। এখন থেকে অপকর্মকারীদের বিরুদ্ধে শুধু বহিষ্কার নয়, আইনের হাতে তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছে দলটি।

একই সাথে অপকর্মকারীদের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর আইনি পদক্ষেপও দেখতে চায় তারা।

এদিকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতিতে অপরাধীদের ধরতে সরকারের ‘চিরুনি অভিযান’ শুরুর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি। এ ক্ষেত্রে সরকার ও প্রশাসনকে সহযোগিতা করতেও প্রস্তুত আছে দলটি। তবে অভিযান যেন বিশেষ কোনো রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে না হয়, প্রকৃত অপরাধীরা যেন ধরা পড়ে- সেটা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা রক্ষায় তারা জিরো টলারেন্স নীতিতে আছেন, আগেও ছিলেন। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য এরই মধ্যে তারা বহু নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন। সেই সাথে প্রশাসনকেও আহ্বান জানিয়েছেন, যে কেউ অন্যায় করলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য। তবে যেকোনো ঘটনা ঘটলেই সেটা নিয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে যে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, অপরাজনীতি করা হচ্ছে- তা থেকে বিরত থাকার জন্য সবাইকে আহ্বান জানান তিনি।

সরকারের ‘চিরুনি অভিযান’ প্রসঙ্গে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, রাজনৈতিকভাবে ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এটা যেন পরিচালিত না হয়, সে ব্যাপারে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। আমরা চাইব, কোনো রাজনৈতিক দলকে দমন-পীড়নের উদ্দেশ্যে না হয়ে সুষ্ঠুভাবে ও যথাযথ প্রক্রিয়ায় এই অভিযান পরিচালিত হবে। বিতর্কিত কোনো কর্মকাণ্ড হিসেবে অভিযান পরিচালিত হবে না। গত ৫ আগস্টের পর থেকে চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী তথা অপকর্মকারীদের বিরুদ্ধে দলীয় অ্যাকশন অব্যাহত রেখেছে বিএনপি। কেউ অন্যায় করলে দল তাকে কোনো রকম প্রশ্রয় দিচ্ছে না। কোথাও কোনো অভিযোগ পেলেই তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে এখন পর্যন্ত দল এবং বিভিন্ন অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের চার-পাঁচ হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

আগামী নির্বাচন সামনে রেখে দলের ইমেজ যাতে কেউ নষ্ট বা ক্ষুণœœ করতে না পারে, সেজন্য সাংগঠনিক শৃঙ্খলা রক্ষায় শুরু থেকেই এমন কঠোর অবস্থান নিয়েছে বিএনপি। ভালো কাজের মাধ্যমে মানুষের মন জয়ের ওপর গুরুত্ব দিয়েছে দলটি। কিন্তু তারপরও নানান ঘটনা ঘটছে। এমন অবস্থায় বিএনপি আরো কঠোরভাবে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। দলটি শীর্ষ নেতারা মনে করছেন, সাংগঠনিক ব্যবস্থাই যথেষ্ট নয়, এ ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে। অপরাধীদের কঠোর হস্তে দমন করতে হবে। তারা আরো মনে করছেন, মেয়াদের ১১ মাসেও সরকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আশানুরূপ উন্নতি ঘটাতে পারেনি। পুলিশ প্রশাসন এখনো বিভিন্ন জায়গায় নির্বিকার। বিএনপির পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় অভিযোগ করা হলেও, অপরাধীদের গ্রেফতারের আহ্বান জানানো হলেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকায় মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড, চাঁদপুরে মসজিদের ভেতর ইমামকে কুপিয়ে আহত করা, খুলনায় যুবদলের সাবেক এক নেতাকে গুলি করে ও রগ কেটে হত্যা করাসহ বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে। এমন প্রেক্ষাপটে বিএনপি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে সরকারকে শক্ত অবস্থানে দেখতে চায়। দলটি চায়, যে বা যারা প্রকৃত অপরাধী বা অপকর্মকারী অর্থাৎ চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, হত্যাকাণ্ডসহ নানা অপকর্মের সাথে জড়িত, তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন ইস্যু ঘিরে কিছু দল এবং গোষ্ঠীর বিএনপিকে চাপে ফেলার প্রবণতা চলছে বলে মনে করছে বিএনপি। বিশেষ করে মিটফোর্ডে ভাঙারি ব্যবসায়ী হত্যাকাণ্ডকে পুঁজি করে বিএনপিকে ঘায়েল করার চেষ্টা হচ্ছে। এটাকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে দলটি। বিএনপি নেতারা বলছেন, শুরু থেকেই যেকোনো অপকর্মের বিরুদ্ধে তারা অত্যন্ত সোচ্চার। কিন্তু বিএনপিকে ঘায়েল করা, বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট করা, সামগ্রিক পরিস্থিতিকে ভিন্নদিকে প্রবাহিত করা অথবা নির্বাচনকে বিলম্বিত করতে তারা এসব ইস্যু নিয়ে মাঠে নেমেছে। মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিএনপিকে দায়ী করে কিছু রাজনৈতিক দল দেশের বিভিন্ন স্থানে মিছিল-মিটিং করছে। বিএনপি মনে করছে, যারা দেশে গণতন্ত্র চায় না, অন্য কোনো উদ্দেশ্য হাসিল করতে চায়- তারাই এসব কথা বলছে।

বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তারা সজাগ এবং সতর্ক রয়েছেন। গণ-অভ্যুত্থানের পর রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কোনো বিভেদ তৈরি হোক কিংবা মিত্রদের মধ্যে কোনো সংঘাতের সৃষ্টি হোক, সর্বোপরি গণ-অভ্যুত্থানের ঐক্য বিনষ্ট হোক- তারা তা চান না। বিএনপি মনে করছে, রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে প্রস্তুতি নেয়া এবং নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশের গণতন্ত্রে উত্তোরণের পথ সহজ করা।

‘মব’ সৃষ্টি করে নৈরাজ্য এবং একের পর এক নৃশংসতায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ও নির্বাচন-পূর্ব স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে অপরাধীদের গ্রেফতারে সারা দেশে ‘চিরুনি অভিযান’ শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গতকাল রোববার সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব:) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।

সূত্রঃ নয়া দিগন্ত

 

 

ট্যাগ :

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ০৬:২৭:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫
৫১৫ Time View

অপকর্মের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি বিএনপির

আপডেটের সময় : ০৬:২৭:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫

সরকারের ‘চিরুনি অভিযান’ শুরুর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি। তবে অভিযান যেন বিশেষ কোনো রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে না হয়, সেটা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।

দলের শৃঙ্খলা বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে বিএনপি। এখন থেকে অপকর্মকারীদের বিরুদ্ধে শুধু বহিষ্কার নয়, আইনের হাতে তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছে দলটি।

একই সাথে অপকর্মকারীদের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর আইনি পদক্ষেপও দেখতে চায় তারা।

এদিকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতিতে অপরাধীদের ধরতে সরকারের ‘চিরুনি অভিযান’ শুরুর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি। এ ক্ষেত্রে সরকার ও প্রশাসনকে সহযোগিতা করতেও প্রস্তুত আছে দলটি। তবে অভিযান যেন বিশেষ কোনো রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে না হয়, প্রকৃত অপরাধীরা যেন ধরা পড়ে- সেটা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা রক্ষায় তারা জিরো টলারেন্স নীতিতে আছেন, আগেও ছিলেন। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য এরই মধ্যে তারা বহু নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন। সেই সাথে প্রশাসনকেও আহ্বান জানিয়েছেন, যে কেউ অন্যায় করলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য। তবে যেকোনো ঘটনা ঘটলেই সেটা নিয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে যে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, অপরাজনীতি করা হচ্ছে- তা থেকে বিরত থাকার জন্য সবাইকে আহ্বান জানান তিনি।

সরকারের ‘চিরুনি অভিযান’ প্রসঙ্গে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, রাজনৈতিকভাবে ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এটা যেন পরিচালিত না হয়, সে ব্যাপারে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। আমরা চাইব, কোনো রাজনৈতিক দলকে দমন-পীড়নের উদ্দেশ্যে না হয়ে সুষ্ঠুভাবে ও যথাযথ প্রক্রিয়ায় এই অভিযান পরিচালিত হবে। বিতর্কিত কোনো কর্মকাণ্ড হিসেবে অভিযান পরিচালিত হবে না। গত ৫ আগস্টের পর থেকে চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী তথা অপকর্মকারীদের বিরুদ্ধে দলীয় অ্যাকশন অব্যাহত রেখেছে বিএনপি। কেউ অন্যায় করলে দল তাকে কোনো রকম প্রশ্রয় দিচ্ছে না। কোথাও কোনো অভিযোগ পেলেই তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে এখন পর্যন্ত দল এবং বিভিন্ন অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের চার-পাঁচ হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

আগামী নির্বাচন সামনে রেখে দলের ইমেজ যাতে কেউ নষ্ট বা ক্ষুণœœ করতে না পারে, সেজন্য সাংগঠনিক শৃঙ্খলা রক্ষায় শুরু থেকেই এমন কঠোর অবস্থান নিয়েছে বিএনপি। ভালো কাজের মাধ্যমে মানুষের মন জয়ের ওপর গুরুত্ব দিয়েছে দলটি। কিন্তু তারপরও নানান ঘটনা ঘটছে। এমন অবস্থায় বিএনপি আরো কঠোরভাবে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। দলটি শীর্ষ নেতারা মনে করছেন, সাংগঠনিক ব্যবস্থাই যথেষ্ট নয়, এ ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে। অপরাধীদের কঠোর হস্তে দমন করতে হবে। তারা আরো মনে করছেন, মেয়াদের ১১ মাসেও সরকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আশানুরূপ উন্নতি ঘটাতে পারেনি। পুলিশ প্রশাসন এখনো বিভিন্ন জায়গায় নির্বিকার। বিএনপির পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় অভিযোগ করা হলেও, অপরাধীদের গ্রেফতারের আহ্বান জানানো হলেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকায় মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড, চাঁদপুরে মসজিদের ভেতর ইমামকে কুপিয়ে আহত করা, খুলনায় যুবদলের সাবেক এক নেতাকে গুলি করে ও রগ কেটে হত্যা করাসহ বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে। এমন প্রেক্ষাপটে বিএনপি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে সরকারকে শক্ত অবস্থানে দেখতে চায়। দলটি চায়, যে বা যারা প্রকৃত অপরাধী বা অপকর্মকারী অর্থাৎ চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, হত্যাকাণ্ডসহ নানা অপকর্মের সাথে জড়িত, তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন ইস্যু ঘিরে কিছু দল এবং গোষ্ঠীর বিএনপিকে চাপে ফেলার প্রবণতা চলছে বলে মনে করছে বিএনপি। বিশেষ করে মিটফোর্ডে ভাঙারি ব্যবসায়ী হত্যাকাণ্ডকে পুঁজি করে বিএনপিকে ঘায়েল করার চেষ্টা হচ্ছে। এটাকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে দলটি। বিএনপি নেতারা বলছেন, শুরু থেকেই যেকোনো অপকর্মের বিরুদ্ধে তারা অত্যন্ত সোচ্চার। কিন্তু বিএনপিকে ঘায়েল করা, বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট করা, সামগ্রিক পরিস্থিতিকে ভিন্নদিকে প্রবাহিত করা অথবা নির্বাচনকে বিলম্বিত করতে তারা এসব ইস্যু নিয়ে মাঠে নেমেছে। মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিএনপিকে দায়ী করে কিছু রাজনৈতিক দল দেশের বিভিন্ন স্থানে মিছিল-মিটিং করছে। বিএনপি মনে করছে, যারা দেশে গণতন্ত্র চায় না, অন্য কোনো উদ্দেশ্য হাসিল করতে চায়- তারাই এসব কথা বলছে।

বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তারা সজাগ এবং সতর্ক রয়েছেন। গণ-অভ্যুত্থানের পর রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কোনো বিভেদ তৈরি হোক কিংবা মিত্রদের মধ্যে কোনো সংঘাতের সৃষ্টি হোক, সর্বোপরি গণ-অভ্যুত্থানের ঐক্য বিনষ্ট হোক- তারা তা চান না। বিএনপি মনে করছে, রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে প্রস্তুতি নেয়া এবং নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশের গণতন্ত্রে উত্তোরণের পথ সহজ করা।

‘মব’ সৃষ্টি করে নৈরাজ্য এবং একের পর এক নৃশংসতায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ও নির্বাচন-পূর্ব স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে অপরাধীদের গ্রেফতারে সারা দেশে ‘চিরুনি অভিযান’ শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গতকাল রোববার সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব:) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।

সূত্রঃ নয়া দিগন্ত