ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৌদি আরবের তেলের চাহিদা ও দাম বাড়ায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যেতে শুরু করেছে সৌদি আরব। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর এক প্রতিবেদনে এমন কথা বলা হয়েছে।
রবিবার (২১ আগস্ট) রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি এক প্রতিবেদনে এই খবর দিয়েছে।
আরটি জানিয়েছে, বুধবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে আইএমএফ পূর্বাভাস দিয়েছে, ২০২২ সালে সৌদির মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ৭.৬ শতাংশ বাড়তে পারে। গত প্রায় এক দশকের মধ্যে যা সবচেয়ে দ্রুতগতির।
অন্যদিকে, ২০২৩ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে সর্বোচ্চ মুদ্রাস্ফীতি হওয়ার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। প্রকৃত দেশীয় জিডিপির হিসাব ধরা হয়েছে ২.৩ শতাংশ। যা আগের বছরের তুলনায় কম। বছরখানেক আগে দেশটির প্রকৃত দেশীয় জিডিপি ছিল ৫.৭ শতাংশ।
২০২০ সালে করোনা মহামারির পর থেকে সৌদি আরবের জিডিপির প্রবৃদ্ধি মারাত্মক ভাবে কমে যেতে শুরু করে। তখন সৌদি অর্থনীতি ৩.৪ শতাংশ সংকুচিত হয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রে এই সংকোচন ছিল ২.৩ শতাংশ।
আইএমএফ জানিয়েছে, চলতি বছরে সবচেয়ে দ্রুতগতিতে উন্নতি করা অর্থনীতির একটি হতে যাচ্ছে সৌদি আরব। এরইমধ্যে দেশটিতে ব্যবসাবান্ধব বড় ধরনের সংস্কারের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। আবার ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৌদি তেলের বাজারও চাঙ্গা। বিভিন্ন দেশে জ্বালানির মূল্য আকাশছোঁয়া। সেই সুযোগ নিচ্ছে সৌদি আরব।
উপসাগরীয় দেশটির জ্বালানির উৎপাদনও উল্লেখযোগ্য বেড়েছে। সব মিলিয়ে সৌদি অর্থনীতি এখন উঠতির দিকে রয়েছে। মহামারির কারণে সৌদি অর্থনীতি মন্দায় পড়লেও এখন সেখান থেকে উঠে আসতে সক্ষম হয়েছে।
আইএমএফ বলছে, তেল বিক্রি করে অতিরিক্ত আয় ভারসাম্যহীনভাবে খরচ করছে কিনা; তার ওপর নির্ভর করছে সৌদি অর্থনৈতিক পূর্বাভাস। সম্প্রতি মার্কিন অর্থনীতিকে বেশ কয়েকটি ধকল সইতে হয়েছে।
চলতি বছরে বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্রের গড় মুদ্রাস্ফীতি ঘটতে পারে ৬.৬ শতাংশ। বর্তমানে যা সাড়ে ৮ শতাংশ হারে রয়েছে। আর পুরো বছরে সৌদি মুদ্রাস্ফীতি হতে পারে মাত্র ২.৮ শতাংশ।