ইউক্রেনে রাশিয়ার চলমান সামরিক অভিযানের পর এরই মধ্যে ১৫ লাখেরও বেশি মানুষ ইউক্রেন থেকে পালিয়ে গেছে। ৬ মার্চ রবিবার প্রকাশিত জাতিসংঘের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, এখনো প্রতিনিয়ত দেশটির ভেতর ও বাইরে এখনো অনেক মানুষ আশ্রয়ের খোঁজ করছেন।
যুদ্ধের শুরু থেকে ইউক্রেনীয় শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার ঘোষণা দিয়ে আসছে ইউরেপীয় দেশগুলো। তবে ইউক্রেনীয়দের আশ্রয় দান বিষয়ে যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্সের মধ্যে কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে।
ফরাসি কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, ইংলিশ চ্যানেলজুড়ে অপেক্ষারত ইউক্রেনীয় শরণার্থীদের নিতে দেরি করছে ব্রিটিশ সরকার।
উত্তর ফ্রান্সের কালে উপকূলজুড়ে অপেক্ষমান ইউক্রেনীয়দের নিতে বিলম্ব করছে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ। তাদের জন্য ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের ‘মানবতার অভাব’ রয়েছে বলে অভিযোগ করেছে প্যরিস।
তবে প্যারিসের এমন অভিযোগের জবাবে রবিবার লন্ডন জানিয়েছে, ‘যেসব ইউক্রেনীয় শরণার্থীদের আমাদের সহায়তা প্রয়োজন সেটি নিশ্চিত করতে আমাদের একটু সময় লাগছে। আমরা শুধুমাত্র ইউক্রেনীয়দের জন্য সীমান্ত অবাধভাবে খুলে দিতে পারি না।’
যুক্তরাজ্য সরকারের বিচারমন্ত্রী ডমিনিক রাব বিবিসিকে বলেছেন, ‘যদি আমরা সীমান্ত উন্মুক্ত করে দেই, তাহলে যাদের সহায়তা পাওয়া উচিত সেসব প্রকৃত ব্যক্তিরা উপকৃত হবে না। এটি সাধারন জনসমর্থনকেও ক্ষুদ্ধ করবে। আমাদের অবশ্যই প্রকৃত ইউক্রেনীয় শরণার্থীরা সহায়তা পাচ্ছে কি না সেটি নিশ্চিত করতে হবে-যোগ করেন তিনি।
এদিকে বেশ কয়েকদিন ধরে রাশিয়ার বোমা হামলা এড়াতে প্রায় চারশ’রও বেশি ইউক্রেনীয় শরণার্থীদের পরিবার যুক্তরাজ্যে আশ্রয়ের আশায় উত্তর ফ্রান্সের ক্যালেতে পৌঁছেছেন। কিন্তু ভিসা না থাকায় তারা সীমান্ত পার হতে পারছেন না বলে জানা গেছে।
ফরাসি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরা দারমানা যুক্তরাজ্যকে দ্রুত ভিসা প্রদানের শর্ত শিথিল করতে বলেছেন।
ফরাসি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শনিবার ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেলকে একটি চিঠিতে যুক্তরাজ্যের ‘অপর্যাপ্ত প্রতিক্রিয়া’ এবং ‘মানবতার অভাব’ এর সমালোচনা করেছেন।