নবীন মাহমুদ:
দখল ও দূষনের ফলে মৃত অবস্থা থেকে ঝালকাঠির রাজাপুরের প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত কবিরাজ বাড়ী খাল খনন করে পূর্বের রুপে ফিরিয়ে আনার জন্য সরেজমিন পরিদর্শন করলেন এলজিইডির সারাদেশে পুকুর ও খাল উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের ডেপুটি প্রজেক্ট ডিরেক্টর এনায়েত কবির। সোমবার দুপুরে রাজাপুর বাইপাস অংশে তিন কিলোমিটার এ খালের মাঝামাঝি বিএনপি কার্যালয় এলাকা ও টিএন্ডটি সড়কের জেলখানার বিপরীত দিকের দখল হওয়া খাল পরিদর্শন করেন।
বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই রাজাপুর বাজারের দক্ষিণ মাথা থেকে বাইপাস হয়ে আবু মুছা সোহাগের বাড়ির পাশ দিয়ে পোদ্দার হাওলা হয়ে দক্ষিণ রাজাপুর হাজি বাড়ি পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার রাজাপুর সদরের পানি প্রবাহিত হবার একমাত্র এই কবিরাজবাড়ী খাল দখলদারদের কাছ থেকে উদ্ধার ও খনন করে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য স্থানীয় সচেতন যুবকরা আন্দোলন করে আসছিলো। খাল উদ্ধার ও খননের বিষয়ে তারা উপজেলা পরিষদ চত্তরে বেশ কয়েকবার মানববন্ধনও করে। পরে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তার কাছে এবং ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক মহোদয় বরাবর স্বারক লিপি প্রদান করে খাল উদ্ধার কমিটির স্থানীয় সচেতন মহল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার কবিরাজবাড়ী খাল সরেজমিন পরিদর্শন করেন এলজিইডির সারাদেশে পুকুর খাল উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের উর্ধ্বতন এই কর্মকর্তা।
খালের সরেজমিন পরিদর্শন শেষে বিষ্ময় প্রকাশ করে এনায়েত কবির বলেন, খালের বর্তমান যে অবস্থা তাতে আগামী দু এক বছরের মধ্যে এই খালের কোন অস্তিত্বই থাকবে না তাই আমরা খুব শিঘ্রই এই খাল খননের বিষয়ে পদক্ষেপ নেব। এসএ নকশা অনুযায়ী খালের সীমানা নির্ধারণ করার জন্য উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা ও সহকারী ভূমি কমিশনারের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন,এলজিইডির সুপারভিশন এন্ড মনিটরিং কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান, সহকারী প্রকৌশলী রোমান ভুঁইয়া রাজাপুর উপজেলা প্রকৌশলী অভিজিত মজুমদার , প্রজেক্টের উপ সহকারী প্রকৌশলী শোভন হালদারসহ খাল উদ্ধার কমিটির সদস্য সাংবাদিক মঈনুল হক লিপু , দুলাল তেওয়ারী ও রাজীব ফরাজী প্রমুখ।