ঢাকা , শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুষ্টিয়ায় রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতি, অস্ত্র ঠেকিয়ে চিকিৎসার টাকা লুট পরিচ্ছন্ন ও সাশ্রয়ী জ্বালানি সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ প্রধান উপদেষ্টার সোনারগাঁয়ে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন সালিশে গেলেই দল থেকে বহিষ্কার, বললেন চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি বনপাড়া পৌর বিএনপির নেতৃত্বে সরদার রফিকুল ইসলামকে ঘিরে জনগণের আশা ব্যারাকে যাওয়ার নির্দেশ বিমান বাহিনীর টাস্ক ফোর্স সদস্যদের, বিমানবন্দরের দায়িত্বে এপিবিএন ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে, নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূতকে প্রধান উপদেষ্টা ইউপিইউ কাউন্সিলে পুনর্নির্বাচিত বাংলাদেশ, প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন নওগাঁয় চার ভুয়া পুলিশ গ্রেফতার কুষ্টিয়ার খোকসায় নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় সভা

নিউমার্কেট এলাকার জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগ পৌঁছেছে চরমে

সাংবাদিক

রাজধানী ঢাকায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হয়ে রাতভর চলে বৃষ্টি। আজ শুক্রবারও থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে। এতে করে শহরের অনেক এলাকার সড়ক পানিতে তলিয়ে যায়। দুপুরের পর বেশির ভাগ সড়ক থেকে পানি নামলেও নিউমার্কেট এলাকায় এখনও জলাবদ্ধতা রয়ে গেছে, যা ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ব্যবসায়ী, পথচারী ও সাধারণ মানুষের জন্য।

দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নিউমার্কেট এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মূল সড়ক ও আশপাশের গলিগুলোতে এখনও পানি জমে রয়েছে। কোথাও কোথাও পানি হাঁটুর সমান। রিকশা চলাচল করলেও যাত্রীদের অনেক সময় ভ্যান কিংবা পায়ে হেঁটে চলাচল করতে হচ্ছে। এমনকি অনেক দোকানের ভেতরেও পানি ঢুকে পড়েছে।

পথচারী জোবায়েদা বেগম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “ছেলেকে কোচিংয়ে নিয়ে যাচ্ছিলাম, কিন্তু পানি আর কাদা মাড়িয়ে হাঁটা দায়। নিউমার্কেট এলাকায় প্রতি বছরই একই অবস্থা, কিন্তু সিটি করপোরেশন আদৌ কোনো ব্যবস্থা নেয় কি না, সেটাই প্রশ্ন।”

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পানি নিষ্কাশনের কাজ চলছে। ডিএসসিসির জোন-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম জয় জানান, নিউমার্কেট এলাকার পানি সাধারণত পিলখানার ভেতর দিয়ে বুড়িগঙ্গা নদীতে গিয়ে পড়ে। কিন্তু বর্তমানে সেই পথ বন্ধ থাকায় বিকল্প রুট দিয়ে পানি সরাতে হচ্ছে, যা সময়সাপেক্ষ।

প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে নিউমার্কেট, এলিফ্যান্ট রোড, নীলক্ষেত ও আজিমপুর এলাকায় নিয়মিত জলাবদ্ধতা দেখা যায়। নগর–পরিকল্পনাবিদদের মতে, কার্যকর ড্রেনেজ ব্যবস্থা এবং নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ছাড়া এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও দ্রুত বাস্তবায়নই হতে পারে একমাত্র সমাধান। না হলে প্রতি বর্ষাতেই নাগরিকদের পড়তে হবে একই দুর্ভোগে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ০৯:০৭:২২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫
৫৮৮ Time View

নিউমার্কেট এলাকার জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগ পৌঁছেছে চরমে

আপডেটের সময় : ০৯:০৭:২২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫

রাজধানী ঢাকায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হয়ে রাতভর চলে বৃষ্টি। আজ শুক্রবারও থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে। এতে করে শহরের অনেক এলাকার সড়ক পানিতে তলিয়ে যায়। দুপুরের পর বেশির ভাগ সড়ক থেকে পানি নামলেও নিউমার্কেট এলাকায় এখনও জলাবদ্ধতা রয়ে গেছে, যা ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ব্যবসায়ী, পথচারী ও সাধারণ মানুষের জন্য।

দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নিউমার্কেট এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মূল সড়ক ও আশপাশের গলিগুলোতে এখনও পানি জমে রয়েছে। কোথাও কোথাও পানি হাঁটুর সমান। রিকশা চলাচল করলেও যাত্রীদের অনেক সময় ভ্যান কিংবা পায়ে হেঁটে চলাচল করতে হচ্ছে। এমনকি অনেক দোকানের ভেতরেও পানি ঢুকে পড়েছে।

পথচারী জোবায়েদা বেগম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “ছেলেকে কোচিংয়ে নিয়ে যাচ্ছিলাম, কিন্তু পানি আর কাদা মাড়িয়ে হাঁটা দায়। নিউমার্কেট এলাকায় প্রতি বছরই একই অবস্থা, কিন্তু সিটি করপোরেশন আদৌ কোনো ব্যবস্থা নেয় কি না, সেটাই প্রশ্ন।”

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পানি নিষ্কাশনের কাজ চলছে। ডিএসসিসির জোন-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম জয় জানান, নিউমার্কেট এলাকার পানি সাধারণত পিলখানার ভেতর দিয়ে বুড়িগঙ্গা নদীতে গিয়ে পড়ে। কিন্তু বর্তমানে সেই পথ বন্ধ থাকায় বিকল্প রুট দিয়ে পানি সরাতে হচ্ছে, যা সময়সাপেক্ষ।

প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে নিউমার্কেট, এলিফ্যান্ট রোড, নীলক্ষেত ও আজিমপুর এলাকায় নিয়মিত জলাবদ্ধতা দেখা যায়। নগর–পরিকল্পনাবিদদের মতে, কার্যকর ড্রেনেজ ব্যবস্থা এবং নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ছাড়া এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও দ্রুত বাস্তবায়নই হতে পারে একমাত্র সমাধান। না হলে প্রতি বর্ষাতেই নাগরিকদের পড়তে হবে একই দুর্ভোগে।