ক্রাইম বিশেষ প্রতিনিধি বান্দরবান:
বান্দরবান সদর উপজেলার ৪নং সুয়ালক ইউনিয়ন এলাকা থেকে নারী পাচারকারী চক্রের ৪ সদস্যকে আটক করেছে বান্দরবান সদর থানার পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন, বান্দরবান সদর উপজেলার কাইচতলি এলাকার আবদুল সালামের ছেলে আবুল মাসুদ মুন্না (৩৮) তার স্ত্রী সেলিনা আক্তার দিতি(২৬), চট্টগ্রামের রাউজান ডাবুয়া এলাকার মো.ইয়াহিয়ার স্ত্রী কামরুন নাহার সাথী(৩৭), সিএমপি লালখান বাজার মতি ঝর্ণা এলাকার মো. হারুনের মেয়ে নাসরিন আক্তার শিল্পী (২৪)।
কিশোরীর মা সুমি আক্তার(৪০) অভিযোগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সাংবাদিকদের জানায়, পরিবার আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারনে মুন্নাদের বাসায় গত কয়েক মাস ধরে কাজ করতো তার মেয়ে তারিন আক্তার(১৫)। পাচারকারী ওই পরিবারের সাথেও প্রতিবেশি হিসেবে সম্পর্কও ছিলো ভালো। কিন্তু কাজের পারিশ্রমিক দিতো না। গত ১৫ দিন আগে নিজের মেয়েকে তাকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিতে চাইলে মুন্না অভিযোগ করে বলেন মেয়েটি তাদের বাড়ি থেকে স্বর্ণালংকার চুরি করে পালিয়েছে। এ বিষয়ে সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরীও করা হয়। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করে খবর পাওয়া যায় আবুল মাসুদ মুন্না কিশোরীটিকে টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দিয়েছে।
পুলিশ এজাহার মাধ্যমে জানা যায়, কিশোরীর পরিবারের সাথে অভিযুক্ত মুন্নার পরিবারের পারিবারিক সম্পর্ক ছিল। তার সুবাদে মাঝে মধ্যে কিশোরী ও তার মা মুন্নাদের বাড়িতে বেড়াতে রাত্রি যাপন করতেন। তেমনি চলতি বছরের গত ১৪ জুন কিশোরী সদর উপজেলার সুয়ালক ইউনিয়নের কাইচতলি এলাকার আবুল মাসুদ মুন্নার বাড়িতে বেড়াতে যান। ১৫ জুন মুন্না কিশোরীর মাকে জানান কিশোরী কাউকে কিছু না বলে অজ্ঞাত স্থানে চলে গেছে। তাকে খুঁজে না পেয়ে সে দিন আবুল মাসুদ মুন্না বাদি হয়ে একটি নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। নিখোঁজের প্রায় ১ মাস পর গত ১২জুলাই মোঃ মানিক(শান্ত) নামে এক লোক ফোনে কিশোরীর মাকে জানায় তার মেয়েকে মুন্না ও তার স্ত্রী প্রলোভন দেখিয়ে চট্টগ্রাম নিয়ে আসে এবং অন্যদের সহায়তায় পতিতাবৃত্তি করতে বাধ্য করা হচ্ছে।
বান্দরবান সদর থানা পুলিশ উপ-পরিদর্শক মিঠুন সিংহ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ বিষয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মানব পাচার চক্রের অন্যান্য সদস্যদেরকেও আইনের আওতায় আনতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।