আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও কমেছে জ্বালানি তেলের দাম। সোমবার সকালে এশিয়ার বাজারে তেলের দাম কমেছে। গত সপ্তাহে তেলের দাম ২ থেকে ৩ শতাংশ কমেছিল। দাম কমার ধারাবাহিকতা বজায় রয়েছে এ সপ্তাহেও। অর্থাৎ, যুক্তরাষ্ট্রের নীতি সুদহার শিগগিরই কমছে না-বাজারে এই খবর চাউর হওয়ার প্রভাব পড়েছে তেলের বাজারে।
সোমবার সকালে এশিয়ার বাজারে ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৩৪ সেন্ট কমে ৮১ দশমিক ২৮ ডলারে নেমে এসেছে; অন্যদিকে ইউএস টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট বা ডব্লিউটিআই ক্রুডের দাম ৩৩ সেন্ট কমে ব্যারেলপ্রতি ৭৬ দশমিক ১৬ ডলারে নেমে এসেছে। রয়টার্স।
এদিকে আর্থিক প্রতিষ্ঠান এএনজেডের বিশ্লেষকেরা বলেছেন, তেলের দাম বাড়তে পারে এমন কোনো নতুন বাস্তবতা তৈরি হয়নি। একদিকে ওপেক ও সহযোগী সদস্যদেশগুলো তেলের উৎপাদন হ্রাস করছে; অন্যদিকে চীনের মতো দেশে চাহিদা কমে গেছে। বাস্তবতা হচ্ছে, তেলের বাজার এই দুই বিপরীতমুখী প্রবণতার মধ্যে আটকা পড়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন গত সপ্তাহে বলেছে, ১৬ ফেব্রুয়ারি শেষ হওয়া সপ্তাহে জ্বালানি তেলের মজুত ৩৫ লাখ ব্যারেল বৃদ্ধি পেয়ে ৪৪ কোটি ২৯ লাখ ব্যারেলে উন্নীত হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স বিশ্লেষকদের নিয়ে যে জরিপ করেছিল, এই মজুত বৃদ্ধি তার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।