ইউক্রেনে যুদ্ধে প্রচেষ্টা জোরদার করার লক্ষ্যে সেনাবাহিনীতে প্রবেশের ‘বয়স সীমা’ উঠিয়ে দেওয়ার প্রস্তাবিত আইনে স্বাক্ষর করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম তাসের বরাত দিয়ে সিএনএন শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এর আগে রাশিয়ার সংসদের নিম্ন কক্ষ ডুমা হাউজের আইনপ্রণেতারা রাশিয়ার সেনা বাহিনীতে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত ‘বয়স সীমা’ উঠিয়ে দেওয়ার আইনটি পাস করা হয়। তবে সেটি আইনে পরিণত হতে প্রয়োজন ছিল প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষরের। পুতিনের স্বাক্ষরের ফলে সেটি এখন আইনে পরিণত হয়েছে।
আগে রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার সর্বোচ্চ বয়সসীমা ছিল ৪০ বছর। এখন সেটি বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
রাশিয়া ইউক্রেনে যুদ্ধ করতে গিয়ে সেনা সংকটে পড়েছে এই আইনের মাধ্যমে সেটিরই ইঙ্গিত বহন করছে বলে জানিয়েছে গণমাধ্যমগুলো।
আগে রুশ নাগরিকদের সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার সর্বনিম্ন বয়স ছিল ১৮। আর সর্বোচ্চ বয়স ছিল ৪০।
অন্যদিকে বিদেশী নাগরিকরা ১৮-৩০ বছরের মধ্যে রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে কাজ করতে পারত।
গত সপ্তাহের রাশিয়ার ক্ষমতাসীন ইউনাইটেড রাশিয়া পার্টি এ আইনটি উত্থাপিত করে। তারা তখন জানিয়েছিল, আইনটি পাশ হলে বয়স্ক ও অভিজ্ঞ সেনাদের সার্ভিস ব্যবহার করতে পারবে রাশিয়া।
ওই সময় প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছিল, উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন অস্ত্র চালানোর জন্য, মিলিটারি অপারেশন ও অস্ত্র পরিচালনার জন্য বিশেষজ্ঞদের প্রয়োজন। অভিজ্ঞতা বলে, ৪০-৪৫ বছরে গিয়ে বিশেষজ্ঞে পরিণত হন তারা।
ওই সময় আরও বলা হয়েছিল, প্রস্তাবিত আইনটি পাশ হলে বেসামরিক ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, অপরাশেন ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা সহজে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে পারবেন।