যুদ্ধ শেষ করতে রাশিয়া ও ইউক্রেন একটি ১৫ দফার পরিকল্পনা বিষয়ে সমঝোতার দিকে আগাচ্ছে বলে জানিয়েছে ফিন্যান্সিয়াল টাইমস।
বুধবার দুপক্ষের আলোচনায় অংশ নেয়া তিনজনের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি এ তথ্য জানায়।
তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনকে নিরপেক্ষ ঘোষণা, তাদের সশস্ত্র বাহিনী ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপের পদক্ষেপ নিলে যুদ্ধবিরতি ও রাশিয়ান সৈন্য প্রত্যাহারসহ ১৫ দফার একটি শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে ইউক্রেন এবং রাশিয়ার অগ্রগতি হয়েছে।
এতে ওই তিনজনের বরাত দিয়ে আরো বলা হয়, প্রস্তাবিত এ পরিকল্পনা নিয়ে সোমবার রাশিয়া এবং ইউক্রেনের আলোচকরা প্রথমবারের মতো সম্পূর্ণভাবে আলোচনা করেন। ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগদানের উচ্চাকাঙ্ক্ষা পরিত্যাগ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যের মতো মিত্রদের কাছ থেকে সুরক্ষার বিনিময়ে বিদেশী সামরিক ঘাঁটি তৈরি বা অস্ত্র ব্যবহার না করার বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়।
তবে ইউক্রেনের কর্মকর্তারা সন্দিহান রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন শান্তিতে সম্পূর্ণভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ কি না তা নিয়ে। তারা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, আলোচনার নামে মস্কো তার সেনাবাহিনীকে পুনরায় সংগঠিত করতে পারে এবং আবার আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে হয়তো।
তাদের অভিযোগ, পুতিন বুধবার তার ভাষণে আপসের কোনো লক্ষণ দেখাননি। বরং তিনি ইউক্রেনে তার বাহিনী সব লক্ষ্য অর্জন করবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
বুধবার এক ভাষণে পুতিন বলেন, আমরা কখনো ইউক্রেনকে আমাদের দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসী কর্মকাণ্ডের ঘাঁটি হতে দেব না।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সিনিয়র উপদেষ্টা মাইখাইলো পোডোলিয়াক ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেন, যেকোনো চুক্তিতে ২৪ ফেব্রুয়ারি আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে ইউক্রেনের দখল করা এলাকা থেকে রাশিয়ার সৈন্যদের সরিয়ে নিতে হবে।
আলোচনায় গুরুত্ব পায় ইউক্রেন তার সশস্ত্র বাহিনীকে ন্যাটো সামরিক জোটের বাইরে রাখবে এবং তার ভূখণ্ডে বিদেশি সামরিক ঘাঁটি স্থাপন থেকে বিরত থাকবে।
ভ্লাদিমির পুতিনের প্রেস সেক্রেটারি দিমিত্রি পেসকভ বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, অস্ট্রিয়া বা সুইডেনের মতো একটি নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে ইউক্রেনের অবস্থান সবচেয়ে ভালো উপায় ।
তিনি বলেন, এ বিকল্প নিয়েই আলোচনা হচ্ছে।
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, আলোচনায় দুপক্ষ সম্মত হওয়ার কাছাকাছি রয়েছে।