প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই র্যাব দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষে সবধরনের অপরাধীকে আটক করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। এছাড়া প্রতারণা ও জালিয়াতি দমন র্যাবের একটি গুরূত্বপূর্ণ ও চলমান অভিযান। র্যাবের এই অভিযান দেশের সকল মহলে প্রশংসিত হয়েছে ।
এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ১১ মার্চ ২০২২ খ্রিঃ তারিখ রাত ০৪:৩০ ঘটিকা হতে ১১:৩০ ঘটিকা পর্যন্ত র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ মাজহারুল ইসলাম ও র্যাব-১০ এর সমন্বয়ে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত কার্যক্রম সম্পন্ন করে। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালত রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় জাটকা ইলিশ বিক্রয় ও সংরক্ষন করার অপরাধে যাত্রাবাড়ী মৎস্য আড়ৎ’কে নগদকে ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা, গঙ্গাপুর মৎস আড়ৎ’কে নগদকে ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা, আল্লাহরদান মৎস আড়ৎ’কে নগদ- ২,৫০,০০০/- (দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা, সোহেল মাৎস আড়ৎ’কে নগদ- ৯০,০০০/- (নব্বই হাজার) টাকা, গোল্ডেন ফিস আড়ৎ’কে নগদ- ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা, লোকনাথ মৎস্য আড়ৎ’কে নগদ- ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা, মেট্রোসেম মৎস আড়ৎ’কে নগদ-১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা করে ০৭টি প্রতিষ্ঠানকে সর্বমোট ৮,৪০,০০০/- (আট লক্ষ চল্লিশ হাজার) টাকা জরিমানা প্রদান করেন। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত ০৭টি আড়ৎ এর মোট ৩৫ মন জাটকা ইলিশ জব্দ করেন এবং বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর নির্দেশে জব্দকৃত জাটকা ইলিশ মাদ্রাসা ও এতিমখানায় বিতারন করা হয়।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, বেশ কিছুদিন যাবৎ এই অসাধু ব্যবসায়ীরা জাটকা ইলিশ সংরক্ষন ও বিক্রয় করে আসছিল বলে জানা যায়।