ঢাকা , শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :

১ জুলাই থেকে ৩৬ দিনের ‘জুলাই স্মৃতি’ অনুষ্ঠানমালা

সাংবাদিক

গত বছরের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটে। সেই অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে জুলাই মাসের পুরো আন্দোলনকে সরকারিভাবে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান’ বা ‘জুলাই বিপ্লব’ নামে অভিহিত করা হয়।

এই বিপ্লবের বর্ষপূর্তি উদ্‌যাপনে শুরু হচ্ছে ৩৬ দিনের (মাঝে বিরতি দিয়ে) ‘জুলাই স্মৃতি উদ্‌যাপন অনুষ্ঠানমালা’। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।

ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, ১ জুলাই শুরু হবে উপাসনালয়ে শহীদদের স্মরণে প্রার্থনার মাধ্যমে। মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাসহ সব ধর্মীয় স্থানে হবে এই আয়োজন। একই দিনে ‘জুলাই ক্যালেন্ডার’ উন্মোচন ও ‘জুলাই হত্যাকাণ্ডের খুনিদের বিচারের’ দাবিতে গণ-সাক্ষর কর্মসূচি শুরু হবে, যা চলবে ১ আগস্ট পর্যন্ত। একই দিনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি শিক্ষাবৃত্তি’ চালু করা হবে।

প্রতিদিন অনুষ্ঠান না থাকলেও বিভিন্ন সময়ে ধারাবাহিকভাবে কর্মসূচি চলবে। যেমন, ১ জুলাইয়ের পর ৫, ৭ ও ১৪ জুলাই রয়েছে বিভিন্ন আয়োজন।

সবচেয়ে বড় আয়োজন রাখা হয়েছে ৫ আগস্টে, যা ‘৩৬ জুলাই’ হিসেবে চিহ্নিত। ওইদিন থাকছে ৩৬ জুলাইয়ের ভিডিও শেয়ারিং, দেশের ৩৬টি জেলার কেন্দ্রীয় শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ, শহীদ পরিবারের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ অভিমুখে বিজয় মিছিল, এয়ার শো, গানের অনুষ্ঠান, ‘৩৬ ডেইস অব জুলাই’ ও অন্যান্য ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী এবং ড্রোন শো।

ট্যাগ :

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ১২:১৮:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫
৫২১ Time View

১ জুলাই থেকে ৩৬ দিনের ‘জুলাই স্মৃতি’ অনুষ্ঠানমালা

আপডেটের সময় : ১২:১৮:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

গত বছরের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটে। সেই অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে জুলাই মাসের পুরো আন্দোলনকে সরকারিভাবে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান’ বা ‘জুলাই বিপ্লব’ নামে অভিহিত করা হয়।

এই বিপ্লবের বর্ষপূর্তি উদ্‌যাপনে শুরু হচ্ছে ৩৬ দিনের (মাঝে বিরতি দিয়ে) ‘জুলাই স্মৃতি উদ্‌যাপন অনুষ্ঠানমালা’। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।

ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, ১ জুলাই শুরু হবে উপাসনালয়ে শহীদদের স্মরণে প্রার্থনার মাধ্যমে। মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাসহ সব ধর্মীয় স্থানে হবে এই আয়োজন। একই দিনে ‘জুলাই ক্যালেন্ডার’ উন্মোচন ও ‘জুলাই হত্যাকাণ্ডের খুনিদের বিচারের’ দাবিতে গণ-সাক্ষর কর্মসূচি শুরু হবে, যা চলবে ১ আগস্ট পর্যন্ত। একই দিনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি শিক্ষাবৃত্তি’ চালু করা হবে।

প্রতিদিন অনুষ্ঠান না থাকলেও বিভিন্ন সময়ে ধারাবাহিকভাবে কর্মসূচি চলবে। যেমন, ১ জুলাইয়ের পর ৫, ৭ ও ১৪ জুলাই রয়েছে বিভিন্ন আয়োজন।

সবচেয়ে বড় আয়োজন রাখা হয়েছে ৫ আগস্টে, যা ‘৩৬ জুলাই’ হিসেবে চিহ্নিত। ওইদিন থাকছে ৩৬ জুলাইয়ের ভিডিও শেয়ারিং, দেশের ৩৬টি জেলার কেন্দ্রীয় শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ, শহীদ পরিবারের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ অভিমুখে বিজয় মিছিল, এয়ার শো, গানের অনুষ্ঠান, ‘৩৬ ডেইস অব জুলাই’ ও অন্যান্য ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী এবং ড্রোন শো।