ঢাকা , শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
“আমি বাংলাদেশ” এর পক্ষ থেকে পথ শিশুদের নিয়ে ফল উৎসব আ.লীগের পথ অনুসরণ করলে তাদের মতোই পরিণতি হবে ১৩০০ নম্বরের মধ্যে ১২৮৫ পেয়ে তাক লাগিয়ে দিলো নিবিড় ফরিদগঞ্জে ইউনিয়ন প্রতিনিধিদের কাছে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য নবায়ন নতুন সদস্য সংগ্রহ ফরম উদ্বোধন মানিকগঞ্জে প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে গাম বুট বিতরণ জামায়াতের রুকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত ফরিদগঞ্জে হাসান ৩৫ নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার এখনই বিশাল চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন বান্দরবানে পাসের হার কমলেও বেড়েছে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা আসনের ভোট বাতিলের ক্ষমতা চায় ইসি, কোনো নির্বাচনেই ইভিএম ব্যবহার হবে না

৩৬ জুলাই বিপ্লবের পর বাংলাদেশ এখন নতুন স্বাধীনতার স্বাদ ভোগ করতে শুরু করেছে- মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন

সাংবাদিক

৩৬ জুলাই বিপ্লবের পর বাংলাদেশ এখন নতুন স্বাধীনতার স্বাদ ভোগ করতে শুরু করেছে ; তাই নতুন স্বাধীনতাকে স্থায়িত্ব দিতে আগামী ১৯ তারিখের জাতীয় সমাবেশ সর্বাত্মকভাবে সফল করার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।

তিনি আজ বিকাল ৫.৩০টায় রাজধানীর একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ মোহাম্মদপুর জোন জামায়াত আয়োজিত এক ইউনিট সভাপতি ও সেক্রেটারি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। অঞ্চল পরিচালক,কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য জিয়াউল হাসান,জোন টিম সদস্য আব্দুল ওয়াজেদ কিরন, ডাক্তার শফিউর রহমান ও এডভোকেট আজহার মুন্সি প্রমূখ।
সেলিম উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ ইতিহাসের এক চমৎকার সময় পার করছে। দেশের এ নতুন প্রেক্ষাপট এমনিতেই সৃষ্টি হয়নি। বিগত ৫৪ বছরে ইসলামী আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের অনেক ত্যাগ ও কোবরানী করতে হয়েছে। জেল-জুলুম, গ্রেফতার-রিমান্ড, কারা নির্যাতন এমনকি রাজপথে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিতে হয়েছে আমাদেরকে। এমনকি কথিত বিচারের নামে প্রহসনের মাধ্যমে আমাদের শীর্ষ নেতাদের হত্যাও করা হয়েছে। শুধু আমরাই নয় বরং ঐতিহাসিক বিজয়ের জন্য সাধারণ মানুষ সকল শ্রেণি ও পেশার মানুষকে অকাতরে প্রাণ দিতে হয়েছে। মূলত, আওয়ামী ফ্যাসীবাদীরা দেশকে অপরাধ ও অপরাধীদের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছিলো। হত্যা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, দুর্নীতি, দুঃশাসন, গুম ও গুপ্তহত্যার মাধ্যমে দেশকে প্রায় কার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছিলো। ৩৬ জুলাই ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সে অবস্থার অবসান হয়েছে। তাই এ বিজয়কে টেকসই ও অর্থবহ করতে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের কোন বিকল্প নেই। তিনি দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে সকলকে ময়দানে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান।
তিনি বলেন, বিগত প্রায় ১৬ বছর ছিলো আওয়ামী জাহেলিয়াত। তারা মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার সহ সকল অধিকার কেড়ে নিয়ে দেশকে মাফিয়াতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করেছিলো। কিন্তু ছাত্র-জনতার বীরোচিত অভ্যুথানে স্বৈরাচারের পতন হয়েছে এবং তারা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। ফলে দেশে সৃষ্টি হয়েছে এক স্বস্তিদায়ক পরিস্থিতি। মানুষ তাদের অধিকার ভোগ করতে শুরু করেছে। যা আমাদেরকে নতুন করে স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেছে। তাই দেশে যাতে নতুন করে ফ্যাসীবাদ ও স্বৈরাচারের উত্থান না ঘটে সে জন্য আমাদেরকে সবোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। বাংলাদেশ যাতে নতুন মাথা উঁচু করে নিজস্ব স্বকীয়তা নিয়ে দাঁড়াতে পারে সে মহড়ায় প্রদর্শিত হবে আগামী ১৯ জুলাই। সেদিনই নির্ধারিত হবে আগামী দিনে বাংলাদেশের নেতৃত্বের আসনে কারা বসবেন। তিনি ১৯ তারিখের জাতীয় সমাবেশ সফল করতে সংগঠনের সকল স্তরের নেতা-কর্মীদের ময়দানে অকূতোভয় সৈনিকের ভূমিকা পালনের আহবান জানান।
সমাবেশ শেষে বিশাল প্রচার মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

ট্যাগ :

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ০৪:৩৯:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
৫২২ Time View

৩৬ জুলাই বিপ্লবের পর বাংলাদেশ এখন নতুন স্বাধীনতার স্বাদ ভোগ করতে শুরু করেছে- মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন

আপডেটের সময় : ০৪:৩৯:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

৩৬ জুলাই বিপ্লবের পর বাংলাদেশ এখন নতুন স্বাধীনতার স্বাদ ভোগ করতে শুরু করেছে ; তাই নতুন স্বাধীনতাকে স্থায়িত্ব দিতে আগামী ১৯ তারিখের জাতীয় সমাবেশ সর্বাত্মকভাবে সফল করার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।

তিনি আজ বিকাল ৫.৩০টায় রাজধানীর একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ মোহাম্মদপুর জোন জামায়াত আয়োজিত এক ইউনিট সভাপতি ও সেক্রেটারি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। অঞ্চল পরিচালক,কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য জিয়াউল হাসান,জোন টিম সদস্য আব্দুল ওয়াজেদ কিরন, ডাক্তার শফিউর রহমান ও এডভোকেট আজহার মুন্সি প্রমূখ।
সেলিম উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ ইতিহাসের এক চমৎকার সময় পার করছে। দেশের এ নতুন প্রেক্ষাপট এমনিতেই সৃষ্টি হয়নি। বিগত ৫৪ বছরে ইসলামী আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের অনেক ত্যাগ ও কোবরানী করতে হয়েছে। জেল-জুলুম, গ্রেফতার-রিমান্ড, কারা নির্যাতন এমনকি রাজপথে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিতে হয়েছে আমাদেরকে। এমনকি কথিত বিচারের নামে প্রহসনের মাধ্যমে আমাদের শীর্ষ নেতাদের হত্যাও করা হয়েছে। শুধু আমরাই নয় বরং ঐতিহাসিক বিজয়ের জন্য সাধারণ মানুষ সকল শ্রেণি ও পেশার মানুষকে অকাতরে প্রাণ দিতে হয়েছে। মূলত, আওয়ামী ফ্যাসীবাদীরা দেশকে অপরাধ ও অপরাধীদের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছিলো। হত্যা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, দুর্নীতি, দুঃশাসন, গুম ও গুপ্তহত্যার মাধ্যমে দেশকে প্রায় কার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছিলো। ৩৬ জুলাই ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সে অবস্থার অবসান হয়েছে। তাই এ বিজয়কে টেকসই ও অর্থবহ করতে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের কোন বিকল্প নেই। তিনি দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে সকলকে ময়দানে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান।
তিনি বলেন, বিগত প্রায় ১৬ বছর ছিলো আওয়ামী জাহেলিয়াত। তারা মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার সহ সকল অধিকার কেড়ে নিয়ে দেশকে মাফিয়াতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করেছিলো। কিন্তু ছাত্র-জনতার বীরোচিত অভ্যুথানে স্বৈরাচারের পতন হয়েছে এবং তারা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। ফলে দেশে সৃষ্টি হয়েছে এক স্বস্তিদায়ক পরিস্থিতি। মানুষ তাদের অধিকার ভোগ করতে শুরু করেছে। যা আমাদেরকে নতুন করে স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেছে। তাই দেশে যাতে নতুন করে ফ্যাসীবাদ ও স্বৈরাচারের উত্থান না ঘটে সে জন্য আমাদেরকে সবোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। বাংলাদেশ যাতে নতুন মাথা উঁচু করে নিজস্ব স্বকীয়তা নিয়ে দাঁড়াতে পারে সে মহড়ায় প্রদর্শিত হবে আগামী ১৯ জুলাই। সেদিনই নির্ধারিত হবে আগামী দিনে বাংলাদেশের নেতৃত্বের আসনে কারা বসবেন। তিনি ১৯ তারিখের জাতীয় সমাবেশ সফল করতে সংগঠনের সকল স্তরের নেতা-কর্মীদের ময়দানে অকূতোভয় সৈনিকের ভূমিকা পালনের আহবান জানান।
সমাবেশ শেষে বিশাল প্রচার মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।