সুদানের খার্তুম বিমানবন্দর থেকে ইথিয়োপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবাতে যাওয়ার পথে বোয়িং ৭৩৭-৮০০ ইটি-৩৪৩ বিমানে এই ঘটনাটি ঘটে। আনন্দবাজার
দেখা যায়, আদ্দিস আবাবাতে অবতরণ করার সময় হলেও বোয়িং ৭৩৭-৮০০ ইটি-৩৪৩ বিমানটি, কিছুতেই নামছে না। আবার গতিও কমছে না। ফলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বিমানবন্দরের কর্মীরা। পরে জানা যায়, বিমান স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থায় দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন দুই চালক।
জানা গেছে, খার্তুম থেকে রওনা দেয়ার পরেই দুই চালক অটো পাইলট ব্যবস্থা চালু করে দেন বিমানে। কিন্তু দীর্ঘ বিমানযাত্রায় চালকরা এতোটাই ক্লান্ত ছিলেন যে, নিজেদের চেয়ারেই ঘুমিয়ে পড়েন দু’জন।
ফলে গন্তব্যে পৌঁছে গেলেও তাদের ঘুম ভাঙেনি। এমনকি বিমানবন্দরের পক্ষ থেকে নামার সঙ্কেত দিয়ে দেয়ার পরেও রানওয়ের দিকে আসেনি বিমানটি। চক্কর কাটতে থাকে প্রায় ৩৭০০০ ফুট উঁচুতে। এটিএফের তরফ থেকে বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া দেননি চালকরা। পরে বিমানের স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গিয়ে তীব্র শব্দে বাজতে শুরু করে বিপদসঙ্কেত। তাতেই ঘুম ভাঙে চালকদের।
এদিকে ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ‘ইথিয়োপিয়ান এয়ারলাইনস’ আফ্রিকার অন্যতম বৃহত্তম বিমানপরিবহণ সংস্থা ওপর চাপ বাড়ছে। অনেকেরই দাবি, অবিলম্বে এই চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।