Monday , 13 May 2024
শিরোনাম

অতীতের ন্যায় অপরাজনীতির বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে জাসদ প্রতাশা প্রধানমন্ত্রীর

অতীতের ন্যায় ভবিষ্যতেও জাসদ মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা বিরোধীদের ক্ষমতা দখলের অপরাজনীতির বিরুদ্ধে এবং দেশে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ধারা, উন্নয়ন ও শান্তির রাজনীতি অব্যাহত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । তিনি আগামীকাল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ দেয়া এক বাণীতে এ প্রত্যাশার কথা বলেন। এ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী এই দলের সকল নেতাকর্মী, সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ২৩ বছরের রাজনৈতিক সংগ্রাম এবং ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা অর্জন করেছি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। জাতির পিতা যখন যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখনই স্বাধীনতাবিরোধী পরাজিত শক্তি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তাঁকে পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ নির্মমভাবে হত্যা করে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশে শুরু হয় হত্যা, ক্যু, সংবিধান লঙ্ঘন, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ধ্যান-ধারণার পুনর্বাসন এবং তাদের রাষ্ট্র-রাজনীতি-সমাজে পুনঃপ্রতিষ্ঠার অপচেষ্টা। দেশবাসীর ওপর সামরিক শাসনের জগদ্দল পাথর চাপিয়ে দিয়ে কুচক্রী মহল তাদের উদ্দেশ্য অনেকটা চরিতার্থ করতে সক্ষম হয়। দেশ ধাবিত হয় এক অনিশ্চিত গন্তব্যের দিকে। দেশের এমনি এক ক্রান্তিলগ্নে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে আমি ১৯৮১ সালের ১৭ মে ৬ বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে দেশে ফিরে আসি ভাত ও ভোটের অধিকার আদায়ের সংকল্প নিয়ে। ততদিনে কুচক্রীমহল সমাজের রন্ধ্রে-রন্ধ্রে দুর্নীতি, অপরাজনীতি এবং সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্পের অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে ফেলেছে। শুরু হয় গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা পুনরুদ্ধারের লড়াই।’
তৎকালীন পাকিস্তানের ধর্মভিত্তিক বিভাজনের রাজনীতি এবং শোষণ-বঞ্চনা থেকে মুক্তিলাভের উদ্দেশ্যেই এ দেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এমন একটি বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন যে- বাংলাদেশ হবে গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক এবং শোষণ ও বৈষম্যমুক্ত। আর সে জন্যই যে সংবিধান তিনি উপহার দিয়েছিলেন সেটি জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং সমাজতন্ত্র – এই চারটি মূল স্তম্ভের ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু জাতির পিতাকে হত্যার পর ক্ষমতাদখলকারী শাসকচক্র পাকিস্তানি কায়দায় দেশে আবারও বিভাজনের রাজনীতি প্রবর্তন করে সাম্প্রদায়িকতা উস্কে দেয়। দেশে ফিরে এসে তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী অসাম্প্রদায়িক এবং গণতান্ত্রিক সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে ভাত ও ভোটের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে লিপ্ত হন। প্রধানমন্ত্রী আমি এ দলের সার্বিক সাফল্য কামনা করেন। বাসস

Check Also

এমভি আব্দুল্লাহ কুতুবদিয়ায় ভিড়ছে সোমবার রাতেই

সোমালি জলদস্যুদের হাতে জিম্মি দশা থেকে মুক্তি পাওয়ার এক মাস পর সোমবার কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় ভিড়তে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

x