৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার পর পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়। সেই অস্থিরতা কাটতে না কাটতেই আবারও ভারত সরকারে শুল্কায়ন মূল্য বৃদ্ধির খবরে হিলি স্থলবন্দরে বেড়ে গেছে পেঁয়াজের দাম।
হিলিতে একদিনের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ১০ টাকা বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ একদিন আগে ৪৮-৫০ টাকা বিক্রি হলেও এখন সেটি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। নাসিক জাতের পেঁয়াজ ৫৪ টাকা বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়।
শনিবার ভারত থেকে ৩৭ ট্রাকে এক হাজার ৯৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। আমদানিকৃত এসব পেঁয়াজে ৪০ শতাংশ শুল্কে ভারত রপ্তানি করলেও শুল্কায়ন মূল্য যোগ না হওয়ায় বাংলাদেশি আমদানিকারকদের সিন্ডিকেটে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।
বন্দরের কমিশন ব্যবসায়ী ও সাধারণ ক্রেতারা বলেন, পেঁয়াজের দাম ৪০-৫০ টাকা হলো কিন্তু হঠাৎ সেটি বেড়ে ৬০ টাকা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। হঠাৎ দাম বাড়ায় আমরা বিপাকে পড়েছি। দাম কম হলে বন্দর থেকে বেশি পরিমাণ পেঁয়াজ কিনতে পারি।
দাম বাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন বলেন, ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির কারণে সেখান থেকে বেশি দামে কিনে আমদানি করতে হচ্ছে। যার কারণে বন্দরে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। তবে আমদানি বাড়লে দাম আবারো কমে আসতে পারে বলে জানান তিনি।
সিন্ডিকট করে দাম বাড়ানো হচ্ছে কি না এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বন্দরে সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজের দাম বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা।
হিলি পানামা পোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন প্রতাপ মল্লিক বলেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি স্বাভাবিক রয়েছে। যেহেতু পেঁয়াজ কাঁচাপণ্য তাই বন্দর থেকে আমদানিকারকরা যাতে দ্রুত নিয়ে বাজারজাত করতে পারে সেজন্য তাদের সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে।