আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার (২০ জুন) বিকেলে রাজধানীর গুলশানের একটি অভিজাত রেস্তোরাঁয় বিএনপির মিডিয়া সেলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিএনপির সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করা হয়েছে। ছয় শতাধিক নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে। ৪০ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা-হয়রানিমূলক মামলা দেওয়া হয়েছে। একটা ভয়াবহ অবস্থা, ভিন্নমত পোষণের সুযোগই নেই।
তিনি বলেন, এমন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা খুব পরিষ্কার করে বলেছি, একটি নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই। এ কারণে বিএনপির পক্ষ থেকে ১০ দফা দাবিও জানিয়েছি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। এজন্যই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করে দেশের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়াই এখন বিএনপির লক্ষ্য।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের প্রধান সংকট হলো- গণতন্ত্র না থাকা। এ সরকার সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। গত ১০ বছরে একদলীয় শাসন কায়েম করেছে। আবারো তারা ভোট চুরির নির্বাচন করার পাঁয়তারা করছে।
তিনি বলেন, জনগণ তাদের ভোট দিয়ে প্রতিনিধি নির্বাচন করতে চায়। আমরা দেখেছি, বিশেষ করে বর্তমান শাসকগোষ্ঠী আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে এটা সম্ভব নয়। সে কারণে আমরা পরিষ্কার করে বলেছি, একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই। যেন সেই নির্বাচনে জনগণ তাদের ভোট দিতে পারেন ও তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারেন। এ কথাগুলো আমাদের দলের পক্ষ থেকে খুব পরিষ্কার করে বলা হয়েছে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিশ্বাস করে, বাংলাদেশকে সত্যিকার অর্থে যারা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চান, সেই সব রাজনৈতিক দলগুলো একসঙ্গে হয়ে আজ যুগপৎ আন্দোলন করছে। আমাদের লক্ষ্য হলো- গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। এখানে বিএনপি ক্ষমতা নিতে চায়- এ কথাটি মুখ্য নয়। মুখ্য হচ্ছে দেশের মানুষের অধিকার আমরা প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। যে স্বপ্ন নিয়ে ১৯৭১ সালে আমরা যুদ্ধ করেছিলাম। যে প্রতিশ্রুতি আমরা জনগণকে দিয়েছিলাম, তা পূরণ করতে চাই।