তবে খালেদা জিয়ার লন্ডনে যাওয়া সম্পূর্ণ নির্ভর করছে তার বর্তমান শারীরিক অবস্থার ওপর। তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জে এম জাহিদ হোসেনও শনিবার জানান, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অগ্রগতি অনুযায়ীই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তিনি বিদেশ যেতে পারবেন কি না।
রাগীব সামাদ বলেন, জার্মানভিত্তিক এফএআই এভিয়েশন গ্রুপের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি আগামীকাল সকাল ৮টা ২০ মিনিটে ঢাকায় নামবে। প্রয়োজন হলে একই দিন রাত ৯টার পর বিমানটি ঢাকায় থেকে লন্ডনের উদ্দেশে উড়াল দিতে পারবে।
বেবিচক সূত্র জানায়, গত শনিবার এফএআই এভিয়েশন গ্রুপ যে আবেদন জমা দিয়েছিল, তাতে মঙ্গলবার ঢাকায় অবতরণ এবং পরদিন বুধবার লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রার সময়সূচি প্রস্তাব করা হয়।
দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন খালেদা জিয়া। চিকিৎসা ও বিদেশযাত্রা-সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের সঙ্গে যুক্ত একটি সূত্র জানায়, চিকিৎসকেরা তার সর্বশেষ অবস্থা পর্যালোচনা করে বিদেশ পাঠানোর সম্ভাব্য সময় আরও দুদিন পিছিয়েছেন। দীর্ঘ যাত্রার ঝুঁকি বিবেচনায় নেওয়া এ সিদ্ধান্ত এখন পুরোপুরি নির্ভর করছে আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় তার শারীরিক অবস্থার পরিবর্তনের ওপর।
সূত্রটি আরও জানায়, গতকাল রাত পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী খালেদা জিয়ার অবস্থায় উল্লেখযোগ্য উন্নতি বা অবনতি-কোনটিই দেখা যায়নি; পরিস্থিতি বেশ স্থির রয়েছে।
মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, তার ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদ্যন্ত্র ও ফুসফুস-সংক্রান্ত জটিলতাগুলো কখনো নিয়ন্ত্রণে থাকলেও হঠাৎ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। ফলে তাকে স্থিতিশীল বলা যাচ্ছে না। সর্বশেষ পরীক্ষায় কিডনি ও ফুসফুসের কিছুটা উন্নতি দেখা গেলেও তা সামগ্রিক ঝুঁকি কমানোর জন্য যথেষ্ট নয়। চিকিৎসকেরা বলেছেন, তিনি এখনও আশঙ্কামুক্ত নন।
এই অনিশ্চয়তার কারণে বিদেশ যাত্রার সম্ভাব্য তারিখ বারবার বদলাচ্ছে। শুরুতে বিএনপি জানায়, ৫ ডিসেম্বর ভোরে খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়া হবে। পরে সময় পরিবর্তন করে ৭ ডিসেম্বর করা হয়। এরপর নতুন সূচিতে ৯ ডিসেম্বর যাত্রার সম্ভাবনা জানানো হয়, যা আবারও পিছিয়ে যায় তার স্বাস্থ্যগত অনিশ্চয়তার কারণে।


























