হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। শনিবার (১৭ জুন) সন্ধ্যা ৭টা ৫১ মিনিটে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় পৌঁছান তিনি। এর আগে সন্ধ্যা ৬টা ৩৫মিনিটে হাসপাতাল থেকে বাসার উদ্দেশ্যে হাসপাতাল ত্যাগ করেন তিনি।
খালেদা জিয়াকে বাসায় নিয়ে আসার পর ডা. জাহিদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘চেয়ারপারসনের যে চিকিৎসা দেশে রয়েছে তাতে তার পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এ কারণে কয়েকদিন পরপরই তাকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। তাকে সুস্থ করতে হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে হবে। এভারকেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে পরামর্শ দিয়েছেন।’
খালেদা জিয়ার বাসায় ফেরার খবরে তার বাসভবনের সামনে দুপুর থেকেই অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। দলটির নেতাকর্মীরা বলেছেন, বাসভবনের সামনের সড়কের দুই পাশে ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে পুলিশ। দুপুরের পর হঠাৎ করেই ফিরোজার সামনে বাড়তি পুলিশের উপস্থিতি চোখে পড়ে। একই সঙ্গে সাদা পোশাকের আইনশৃক্সখলা বাহিনী অবস্থান নিয়েছে। এ সময় খালেদা জিয়া গাড়িবহরের সামনে-পেছনে বৃষ্টিতে ভিজে নেতাকর্মীরা মোটরসাইকেল নিয়ে মিছিল করে হাসপাতাল থেকে বাসা পর্যন্ত আসেন।
খালেদা জিয়াকে বাসায় স্বাগত জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, বিএনপির স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, সহ-স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক নিলুফার চৌধুরী মনি। এছাড়া খালেদা জিয়া ভাই শামীম ইস্কান্দার ও তার স্ত্রী কানিজ ফাতেমা ছিলেন।
হঠাৎ করে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কিছুটা অবনতি হলে গত ১২ জুন দিবাগত রাত ১টা ৪০ মিনিটে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে ভর্তি করানো হয়।
পরে বিএনপি নেতারা জানান, খালেদা জিয়ার অন্যান্য রোগগুলো মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও বর্তমানে লিভার ও কিডনি জটিলতা বেশি ভোগাচ্ছে তাকে। চিকিৎসকরা ওষুধ দিয়ে সেটাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তিনি মোটামুটি ভালো আছেন।
এর আগে গত ২৯ এপ্রিল নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন খালেদা জিয়া।