কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : বিভিন্নভাবে ফাঁদ তৈরি করে পাখি শিকার করে তা ভিডিও ধারণ করে ভেরিফাই ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজে দীর্ঘদিন আপলোড করে আসছিল খোকসা উপজেলার বেত বাড়িয়া একতার পুর গ্রামের সাব্বির (১৭) ও সাকিব(১৪) নামের দুই কিশোর। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বন সংরক্ষক মোল্যা রেজাউল করিমের সার্বিক দিক নির্দেশনায় বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট ঢাকা, বাংলাদেশ জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফেডারেশন (বিবিসিএফ) এবং বণ অধিদপ্তর কুষ্টিয়ার সহযোগিতায় ২১ জুন মঙ্গলবার সন্ধায় খোকসা উপজেলার বেত বাড়িয়া একতার পুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে ক্যামেরামান সাকিব কে আটক করা হলেও মূল অভিযুক্ত সাব্বির কে পাওয়া যায়নি।
এসময় সাব্বিরের বাসা থেকে পাখি ধরার ফাঁদ কয়েকটি ফাঁদ, দুটি তিলা ঘুঘু ও খাঁচা জব্দ করা হয়। অভিযুক্ত দুই সাব্বির হোসেন (১৭) খোকসা উপজেলার বেতবাড়িয়া ইউনিয়নের একতারপুর গ্রামের আব্দুল বারীর ছেলে এবং অপর অভিযুক্ত মোঃ সাকিব সেখ (১৪) একই এলাকার মো: আরমান সেখ এর ছেলে।
এঘটনায় অভিযুক্ত সাকিব ও সাব্বিরের বয়স পূর্ণ না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা না করে পাখি শিকার না করার অঙ্গিকার করে সাকিব ও সাব্বিরের অভিভাবকদের কাছ থেকে একটি নতুন ভিডিও আপলোড এবং ফেসবুক ও ইউটিউবে আপলোডকৃত সকল ভিডিও ডিলিট ও এ ধরনের কাজ আর কখনো করবে না বলে স্বাক্ষর করে মুসলেকা দেয় ও ক্ষমা প্রার্থনা করে।
এসময় কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদেরকে প্রাথমিক ভাবে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে পরবর্তীতে এ ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করলে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে এবং কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করে হবে।
এসময় বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট ঢাকার শেখ জসিম, বাংলাদেশ জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফেডারেশন (বিবিসিএফ) কুষ্টিয়ার সভাপতি শাহাবউদ্দিন মিলন, সাধারণ সম্পাদক এস আই সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক নাব্বির আল নাফিজ, কুষ্টিয়া বন অধিদপ্তরের কর্মী জুয়েল ও হানিফ। উল্লেখ্য সাব্বির ও ক্যামেরামান সাকিব বিভিন্ন ভাবে ফাঁদ পেতে পাখি শিকারেী কৌশলের ধারণকৃত ১৩২ টি ভিডিও স্যোশাল মিডিয়ায় আপলোড করতো এবং টাকা ইনকাম করতো। তাদের ইউটিউবে সাবসক্রাইবার ২০ হাজারের বেশি।