ঢাকা , রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
দ্বিতীয় মেয়াদেও বিসিডিএস আলফাডাঙ্গা উপজেলা কমিটির সভাপতি মোঃ হারুনুর রশীদ তারেক জিয়ার ৩১দফা বাস্তবায়ন করতে হলে এদেশে আমাদের ভোটারদের কাছে যেতে হবে: তারুণ্যের সমাবেশে আলহাজ্ব এম এ হান্নান আড়াইহাজারে বিএনপির ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ৩০ চাঁদপুরে ২১ তম ডিসি গোল্ডকাপ কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট সম্পন্ন ঢাকা বিমানবন্দরে আগুন: উদ্ধার কাজে বিমান নৌ সেনাবাহিনী বিজিবি ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন, এতে কোনো সন্দেহ নেই : ইসি আনোয়ারুল শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগুন এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ‘কালো পতাকা মিছিল’ জুলাই সনদ স্বাক্ষরের আগে ভাঙচুর-আগুন, ৯০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা জাবির দর্শন বিভাগ এলামনাই এসোসিয়েশনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা

জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্য বিএনপি’র সভাপতি এম এ মালিক

সাংবাদিক

দীর্ঘ আট মাসের সংলাপ ও মতৈক্য প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে চূড়ান্ত হওয়া ঐতিহাসিক ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ স্বাক্ষরিত হয়েছে। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকেল ৫টা ৫মিনিটে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে এটি স্বাক্ষরিত হয়।

জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ব্যক্তিবর্গ।

মঞ্চে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের মধ্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন প্রমুখকে দেখা গেছে। আরো উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিক।

পর প্রধান উপদেষ্টা এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। তবে স্বাক্ষর অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে দিনভর উত্তেজনা, মতভিন্নতা এবং জুলাই যোদ্ধাদের বিক্ষোভের কারণে এক মিশ্র পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।

সনদ স্বাক্ষরের আগেই আজ সকালে সংসদ ভবন এলাকায় ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সনদ প্রণয়নে নিজেদের অবমূল্যায়ন ও আইনি ভিত্তি না থাকার অভিযোগ তুলে তারা মূল মঞ্চের সামনে অবস্থান নিলে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়। এই সংঘর্ষে আহত হন বেশ কয়েকজন যোদ্ধা।

তবে এই উত্তেজনার মধ্যেই ঐকমত্য কমিশন জরুরি ভিত্তিতে ‘জুলাই জাতীয় সনদ’-এর অঙ্গীকারনামার ৫নং দফায় সংশোধন আনে। কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ সংশোধিত দফায় গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা, আহতদের সহায়তা এবং শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধাদের আইনগত দায়মুক্তি নিশ্চিত করার অঙ্গীকার ঘোষণা করেন।

ট্যাগ :

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ১২:৪৪:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫
৫৩১ Time View

জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্য বিএনপি’র সভাপতি এম এ মালিক

আপডেটের সময় : ১২:৪৪:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫

দীর্ঘ আট মাসের সংলাপ ও মতৈক্য প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে চূড়ান্ত হওয়া ঐতিহাসিক ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ স্বাক্ষরিত হয়েছে। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকেল ৫টা ৫মিনিটে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে এটি স্বাক্ষরিত হয়।

জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ব্যক্তিবর্গ।

মঞ্চে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের মধ্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন প্রমুখকে দেখা গেছে। আরো উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিক।

পর প্রধান উপদেষ্টা এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। তবে স্বাক্ষর অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে দিনভর উত্তেজনা, মতভিন্নতা এবং জুলাই যোদ্ধাদের বিক্ষোভের কারণে এক মিশ্র পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।

সনদ স্বাক্ষরের আগেই আজ সকালে সংসদ ভবন এলাকায় ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সনদ প্রণয়নে নিজেদের অবমূল্যায়ন ও আইনি ভিত্তি না থাকার অভিযোগ তুলে তারা মূল মঞ্চের সামনে অবস্থান নিলে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়। এই সংঘর্ষে আহত হন বেশ কয়েকজন যোদ্ধা।

তবে এই উত্তেজনার মধ্যেই ঐকমত্য কমিশন জরুরি ভিত্তিতে ‘জুলাই জাতীয় সনদ’-এর অঙ্গীকারনামার ৫নং দফায় সংশোধন আনে। কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ সংশোধিত দফায় গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা, আহতদের সহায়তা এবং শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধাদের আইনগত দায়মুক্তি নিশ্চিত করার অঙ্গীকার ঘোষণা করেন।