Thursday , 2 May 2024
শিরোনাম

জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ তৈরিতে যুক্ত ছিলেন বাংলাদেশি লামীয়া

পৃথিবী সৃষ্টির আগে মহাশূন্যের হাজার হাজার ছায়াপথের ছবি তুলেছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। এ ছবি তুলেছে যে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ (জেডব্লিউএসটি), নাসার সেই টেলিস্কোপ তৈরি ও ছবি তোলায় যুক্ত ছিলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত লামীয়া আশরাফ মওলা। পেশায় তিনি একজন অ্যাস্ট্রোফিজিসিস্ট।

কয়েক দশকের অপেক্ষা শেষে দ্য জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের তোলা ছবিটি দেখার সুযোগ হলো বিশ্ববাসীর। এটিই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে শক্তিশালী ও বৃহত্তর টেলিস্কোপ।

নাসা জানিয়েছে, এ যাবত বহির্বিশ্বের যত ছবি তোলা হয়েছে, তার মধ্যেই এটিই সবচেয়ে গভীর, তীক্ষ্ণ ও পরিচ্ছন্ন ইনফ্রারেড ছবি। মঙ্গলবার (১২ জুলাই) মহাশূন্যের ‘এসএমএসিএস-৭২৩’ নামের ছায়াপথগুচ্ছের এই ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। যদিও একদিন আগে হোয়াইট হাউসের এক অনুষ্ঠানে এ ছবি উন্মুক্ত করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

প্রায় ২৫ বছর ধরে চেষ্টার পর যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ইউরোপের অর্থায়নে কয়েক হাজার বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলী টেলিস্কোপটি গেল বছর মহাকাশে স্থাপন করেন। কানাডীয় মহাকাশ সংস্থার টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি দল কাজ করেছে এই ছবি তোলা ও বিশ্লেষণে। সেই দলে লামীয়া আশরাফ মওলা নামে এক বাংলাদেশিও আছেন।

তিনি ঢাকার শান্তিনগরে বেড়ে উঠেছেন। উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থী পিএইচডি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে। বর্তমানে টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের ডানলপ ইনস্টিটিউট অব অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিকসে পোস্ট-ডক্টরাল ফেলো হিসেবে কাজ করছেন।

নাসা থেকে ছবি প্রকাশের পর উচ্ছ্বসিত লামীয়া গণমাধ্যমকে বলেন, পিএইচডি গবেষণার সময় হাবল টেলিস্কোপ নিয়ে কাজ করেছি। তখন থেকেই ইচ্ছা ছিল জেমস ওয়েবে কাজ করার। সেই সুযোগও পেয়েছি।

জেমস ওয়েবের ক্যামেরা বর্ণালির ইনফ্রারেড অংশে কাজ করে। যা সাদা চোখে দেখা যায় না। কিন্তু নাসার নতুন ছবির রঙ দৃশ্যমান। এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের চোখে দৃশ্যমান করতে নভোদুরবিনের ছবি সবচেয়ে বড় তরঙ্গদৈর্ঘ্যকে লাল, মাঝেরটিকে সবুজ ও সবচেয়ে ছোট তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলোকে নীল হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। আর তাতেই ছবিটি আমাদের জন্য দৃশ্যমান হয়েছে। ডিজিটাল মাধ্যমে করা হয়েছে এ কাজ।

তিনি বলেন, ছবিতে উজ্জ্বল সাদা আলো হলো আমাদের ছায়াপথের তারা। আর দূরবর্তী গ্যালাক্সিগুলোকে এখানে যাচ্ছে লাল বা লালচে হিসেবে। সবচেয়ে কাছে যে গ্যালাক্সি, চারশ ষাট কোটি আলোকবর্ষ দূরের। আর দূরেরগুলো প্রায় ১ হাজার ৩০০ কোটি আলোকবর্ষের দূরের।

জেমস ওয়েবের জন্য দীর্ঘ ২৫ বছরের অপেক্ষা সফল হয়েছে। এতদিন বিশ্বকে যেভাবে দেখা হতো, তা চিরতরে বদলে গেছে। মহাজাগতিক ইতিহাসের প্রতিটি পর্যায়ে নজর দেবে জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ।

এ ছবিতে কিছু দূরবর্তী ছায়াপথ ও তারকাও উঠে এসেছে, যা আগে কখনো দেখা যায়নি।

Check Also

নরসিংদীতে গারদে আটক বন্দীকে খাবার না দেওয়ার অভিযোগ

সাদ্দাম উদ্দিন রাজ নরসিংদী জেলা নরসিংদী জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে অবস্থিত গারদখানার এক …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

x