রাজধানীতে দিন দিন বাড়ছে মেট্রোরেলের চাহিদা। চলাচলের সময়সূচি বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলাচল করছে মেট্রোরেল। এরই মধ্যে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় স্বল্প দূরত্বের যাত্রীদের চাপ দেখা যাচ্ছে মেট্রোরেলে।
আজ মঙ্গলবার সরেজমিনে আগারগাঁও থেকে উত্তরা স্টেশনগুলোতে দেখা যায়, পিক আওয়ার এবং অফ পিক আওয়ারে আগের চেয়ে যাত্রীর চাপ বেড়েছে। যাত্রীদের অনেকে ভাড়া কিছুটা বেশি দিয়ে হলেও গরম থেকে বাঁচতে স্বল্প দূরত্বের যাত্রায় মেট্রোরেল ব্যবহার করছে।
আগারগাঁও স্টেশনে কথা হয় মো. সুমনের সঙ্গে। দেশ রূপান্তরকে তিনি বলেন, ‘আমার বাসা মিরপুর ১০ নম্বর এলাকায়। আগারওগাঁও থেকে মিরপুর গণপরিবহনে যাতায়াত করলে তীব্র গরমে সইতে হবে। তাই ২০ টাকা টিকিট কেটে মিরপুর যাচ্ছি মেট্রোরেলের এসি কোচে। খুব অল্প সময়ে গন্তব্য পৌঁছাতে ভালোই লাগল।
মিরপুর ১০ নম্বর স্টেশনের আরেক যাত্রী মো. পুর্বান আলী বলেন, ‘বাসে চলাচল করতে ভালো লাগে না। স্বল্প দূরত্বে রিকশায় যাতায়াত করা হত। কিন্তু মিরপুরের স্টেশনগুলো চালু হওয়ার পর মেট্রোরেলে চলাচল করা হয়। আর এই গরমে এত কম সময়ে পৌঁছাতে মেট্রোরেলই এখন ভরসা।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আগারগাঁও স্টেশনের এক কর্মকর্তা দেশ রূপান্তরকে জানান, মেট্রোরেলের যাত্রী আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। অনেক সময় হিমশিম খেতে হচ্ছে যাত্রী সামলাতে। তবে সামনে এই সংখ্যা আরও বাড়বে।’
বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা কেন্দ্রের সাবেক পরিচালক ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে তাপমাত্রা আগের চেয়ে বেড়েছে। এখন মানুষ যাতায়াতে স্বস্তি খুঁজে। আমাদের সড়কে যেসব গণপরিবহন চলাচল করে সেগুলোর বেশিরভাগের বেহাল দশা। ফলে যাতায়াতে কষ্ট পায় যাত্রীরা। অন্যদিকে মেট্রোরেল হল আরামদায়ক বাহন।’ এ সময় উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চালু হলে যাত্রী সংখ্যা আরও বাড়বে বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ৩১ মে থেকে যাত্রীদের সুবিধার্থে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মোট ১২ ঘণ্টা মেট্রোরেল চলাচল শুরু হয়। তবে যাত্রীদের জন্য মেট্রোরেলে প্রবেশের সময়সীমা রাত সাড়ে ৭টা পর্যন্ত।
সাধারণত বিকেল ৫টায় শেষ হয় রাজধানীর অধিকাংশ সরকারি-বেসরকারি অফিসের কর্মঘণ্টা। এরপর সবাই ঘরে ফেরার প্রতিযোগিতায় নামেন। তখন সড়কে তৈরি হয় ভয়াবহ যানজট, যা রাত ৯-১০টা পর্যন্ত থাকে। এখন মেট্রোরেল চালু হওয়ায় কিছুটা হলেও স্বস্তি পাচ্ছে রাজধানীবাসী।