Friday , 26 April 2024
শিরোনাম

দিরাইয়ে আওয়ামীলীগের সম্মেলনে হামলার ঘটনায় ৭৭ বিরুদ্ধে মামলা

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিকী সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপিস্থতিতে সংঘর্ষের ঘটনায় উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক প্রদীপ রায়কে প্রধান আসামী করে ৭৭ জনের নাম উল্লেখ করে সুনামগঞ্জ দ্রæত বিচার ট্রাইব্যুানাল আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

রবিবার সকালে দিরাই উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের মশাহিদ মিয়ার ছেলে যুতিমা মিয়া বাদি হয়ে ২০১৪ এর ৪ ও ৫ ধারাসহ দন্ডবিধির ১৪৩/৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩২৬/৩০৭/১১৪/৩৪ ধারায় এই মামলাটি দায়ের করেন। আদালত দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)কে বর্ণিত বিষয়ে এফআইআর গন্য রুজু করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের পাশাপাশি আগামী পহেলা ডিসেম্বরের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন প্রদানের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। মামলার অন্যান আসামীগণ হলেন,চন্ডিপুর গ্রামের মৃত মঈন উদ্দিনের ছেলে আলতাব উদ্দিন মাষ্টার(৬২),তার সহোদর কামাল মিয়া(৪০),মৃত প্রভাত রায়ের ছেলে বিশ্বজিৎ রায়(৪৫),সর্ব সাং আনোয়ারপুর।হাসিম উদ্দিনের ছেলে কলিম উদ্দিন(৩৮),তার সহোদর জিয়াউর রহমান লিটন(৪০),মো. শরিফ উদ্দিন(৪৫),মুজিবুর রহমান(৪২),মৃত কনাই মিয়ার ছেলে মারফত মিয়া(৪৫),বাবুল মিয়া(৪৩),খালিদ(৪৯),,জালাল উদ্দিনের ছেলে রায়হান(২৫),ফরহাদ(৩৫),টেনাই মিয়ার ছেলে কুহিন(৩৯),মৃত মজি মিয়ার ছেলে রাকিব উল্ল্যা,কুতুব উদ্দিনের ছেলে এহিয়া(২৩),মৃত ফরাজ মিয়ার ছেলে রাসেল(৩০),রাকিব উল্ল্যার ছেলে হাসান(২০),মৃত ইজরাইল মিয়ার ছেলে শামিম(৪৫)শাহিন(৩৫),মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে ফয়েজ উদ্দিন(৪৫),বশির উদ্দিনের ছেলে আফজল(২৫),ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে অমর মিয়া(২০),রমিজ উদ্দিনের ছেলে সাইফুল(৩৫),মৃত রমিজ উদ্দিনের ছেলে মতি মিয়া(৪০),মৃত কমরু মিয়ার ছেলে রমিজ উদ্দিন(৬০),মৃত নুরা মিয়ার ছেলে মতি মিয়া(৪০),মতি মিয়ার ছেলে লাদেন মিয়া(২০),ইকবাল উদ্দিনের ছেলে শিপন মিয়া(২২),মৃত নইম উল্ল্যার ছেলে টেনাই মিয়া(৫০),ইকবাল উদ্দিন(৪৮),আনোয়ারপুর গ্রামের আলতাব উদ্দিনের ছেলে মুরাদ,মৃত সফর উদ্দিনের ছেলে মুরাদ মিয়া,জিয়া উদ্দিন,তাজ উদ্দিন,সাকিতপুর গ্রামের বকুল সরদারের ছেলে নাছির সরদার,কাপ্তান সরদারের ছেলে মহসিন সরদার,সোজানগর গ্রামের মলাই চৌধুরীর ছেলে সাহেল চৌধুরী,চন্ডিপুর গ্রামের শরিফ উদ্দিনের ছেলে তুফায়েল,সাকিতপুরের জমিল হক সরদারের ছেলে শহিদ সরদার,মৃত গইছ সরদারের ছেলে ইকবাল সরদার,মৃত জফুর সরদারের ছেলে সাজ্জুল সরদার,ভরারগাঁও গ্রামের মৃত মরতত আলীর ছেলে পারভেজ,বেরাজ মিয়ার ছেলে রুহুল আমিন শুভ,দাপখাই গ্রামের রেনু মিয়া,আনোয়ারপুরের মৃত কালিদাস রায়ের ছেলে কামনাশীষ রায় লিটন,মিল্টন রায়,অসিত চৌধুরীর ছেলে অনুপম চৌধুরী,সত্যবান রায়ের ছেলে সুদিপ রায়,ভানু রায়,মৃত প্রভাত রায়ের ছেলে বিক্রম রায়,প্রনতি রায়ের ছেলে রিংকু রায়,জিতেশ রায়ের ছেলে রাজিব রায়,সাজু রায়,মাতাবপুর গ্রামের অষ্টম রায়,মজলিশপুর গ্রামের বাদশাহ চৌধুরীর ছেলে কনিক চৌধুর,িতাজ উদ্দিনের ছেলে জাবেদ মিয়া,চন্ডিপুরের মৃত মঈন উদ্দিন মাষ্ঠারের ছেলে জালাল উদ্দিন,আনোয়ারপুরের বেলাল,গাগটিয়ার ইদ্রিছ আলীর ছেলে মনোয়ার,দওজ গ্রামের রবি রায়ের ছেলে বিদ্যুৎ রায়,দিরাইয়ের অসিদ চৌধুরীর ছেলে অসিম চৌধুরী, ভরারগাঁও গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে আমির হোসেন,সাকিতপুর গ্রামের মৃত গইছ সরদারের ছেলে ইমদাদা সরদার,জমিল হক সরদারের ছেলে ফরিদ সরদার,ফরিদ সরদারের ছেলে আব্দুল্লাহ সরদার,মৃত দোস্ত মামুদের ছেলে সাজাদ সরদার,ঘাগটিয়া গ্রামের মৃত আজিম উদ্দিনের ছেলে আব্দুস সামাদ,মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে আব্দুস শহিদ,মতলিব উল্ল্যার ছেলে লুৎফুর রহমান,ইচকন আলীর ছেলে সাব্বির মিয়া,সুজানগর গ্রামের মলাই চৌধুরীর ছেলে রাসেল চৌধুরী,তাড়লের রবিউল চৌধুরীর ছেলে জাহেদ চৌধুরী,কাইমা গ্রামের ইমামুল হক টিপু,গোলাপ নগরের কুতুব মিয়ার ছেলে ছাদিক মিয়া,চন্ডিপুরের মৃত চিকন মিয়ার ছেলে মস্তাক ও মেরাজ মিয়া।

অভিযোগসূত্রে জানা যায়,দিরাই উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও পৌরসভার সাবেক মেয়র মোশারফ মিয়া তার বিপুল সংখ্যক কর্মী সমর্থক নিয়ে সম্মেলন মঞ্চের স্থলে উপস্থিত হলে আসামীদ্বয় ক্ষিপ্ত হয়ে সম্মেলনস্থল হতে বিতাড়িত করার জন্য ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে শুরু করে। এক পর্যায়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা শুরু করেন এবং সম্মেলনস্থলে রক্ষিত চেয়ার ভাংচুর করে। এদিকে প্রধান আসামী প্রদীপ রায় ও আলতাব উদ্দিনের নেতৃত্বে আসামীরা মামলার বাদির স্বজনদের সম্মেলনস্থল ত্যাগ না করিলে খুন করে ফেলার হুমকি দামকী দিলে তাদের পক্ষের আসামী কামাল মিয়া সাবেক পৌর মেয়র মোশারফ মিয়ার গলায় চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা চেষ্টার পাশাপাশি কিলঘুষি মেরে রক্তাক্ত করে বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়। আসামী কামাল মিয়া লোহার রড দ্বারা এক নম্বর স্বাক্ষী আতিকুর রহমানের মাথা লক্ষ্য করে বারি দিলে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে মুখে পরে রক্তাক্ত হন। এছাড়া আসামী আলতাব উদ্দিন,জিয়া উদ্দিন,জিয়াউর রহমান লিটন গংরা হাতে থাকা রামদা দিয়ে সাক্ষীদের উপর কোপ মারলে এতে বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন।

এ ব্যাপারে দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাইফুল আলম অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে জানান,আদালতের নির্দেশ পালনে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Check Also

বাংলাদেশে চিকিৎসা সুবিধায় থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চান শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ থাইল্যান্ডকে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাই-টেক পার্কে বিনিয়োগের পাশাপাশি বাংলাদেশের হাসপাতাল …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

x