Tuesday , 7 May 2024
শিরোনাম

নবাবগঞ্জে কোরবানির গরু ‘বাংলা বাহাদুর’র দাম হাঁকা হচ্ছে ৭ লাখ ৫০ হাজার

খামারে নিয়ে আসার পর নাম রাখা হয়েছিল ‘বাংলা বাহাদুর’। ঢাকা নবাবগঞ্জের খামারি সুজন ইসলামের এই ষাঁড়টি দেখতে উৎসুক জনতা ভিড় করছেন তাঁর খামারে।

ষাঁড় গরুটির শরীরজুড়ে সাদা-কালো ডোরাকাটা দাগ। সারা রংটা একটু লালচে। খামারে নিয়ে আসার পর নাম রাখা হয়েছিল ‘বাংলা বাহাদুর’। ইতিমধ্যে বয়স তিন বছর পেরিয়েছে। এবারের কোরবানির বাজার সামনে রেখে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা এই ষাঁড়টির ওজন ৯০০ শত থেকে ৯২০ শত কেজি বা আনুমানিক ২২ থেকে ২৩ মুন বলে দাবি করেছেন নবাবগঞ্জের হাসনাবাদ গ্রামের খামারি সুজন ইসলাম। এবারের কোরবানির ঈদে নবাবগঞ্জ থানায় আকার ও ওজনে সবচেয়ে বড় ষাঁড় এটিই বলে দাবি তাঁর। তিনি ষাঁড়টির দাম হাঁকছেন ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

একনজর দেখতে উৎসুক জনতা ভিড় করছেন ঢাকা নবাবগঞ্জ থানার হাসনাবাদ গ্রামে সুজন ইসলামের বাড়িতে। গত রবিবার বাংলা ৫২ নিউজ এই প্রতিবেদকও হাজির হন ওই বাড়িতে। এ সময় গরু দেখতে আসা পাশের গ্রামের জয়েন্ত রাজ বলেন, এত বড় বিশালদেহী ষাঁড় এলাকায় রয়েছে শুনে; এ কারণে এ ষাঁড়টি দেখতে এসেছেন।

এ সময় দেখা যায়, খামারে মোটা দড়িতে বেঁধে রাখা হয়েছে বাংলা বাহাদুর নামের ষাড়৷ খামারে ভিড় জমিয়েছেন উৎসুক মানুষ। কথা হয় খামারি সুজন ইসলামের সঙ্গে।

সুজন ইসলাম জানান, বেশি নাদুসনুদুস হওয়ার কারণে হাটে তোলা কষ্টসাধ্য হওয়ায় খামার থেকেই বাংলা বাহাদুর ষাঁড়টিকে বিক্রির চেষ্টা চলছে। দেখতে নাদুসনুদুস এবং শরীরে ডোরাকাটা দাগ হওয়ায় নাম রাখা হয় ‘বাংলা বাহাদুর’। গত বছরই এর ওজন হয় ৭০০ শত কেজি ছিলো বলে দাবি তার। কিন্তু গতবার করোনার কারণে কোরবানির বাজারে ফলে বড় গরুর ক্রেতা ছিল না। ফলে খামারে অন্য গরুর সঙ্গে বড় হতে থাকে বাংলা বাহাদুর। ভালো দাম পেলে এবারের কোরবানির ঈদে ষাঁড়টি তিনি বিক্রি করে দিতে চান।

জহুরুল আরও বলেন, দুই বছর পর এবার পুরোদমে কোরবানির হাট বসছে। বড় গরুর চাহিদাও রয়েছে। তবে বেশি নাদুসনুদুস হওয়ার কারণে হাটে তোলা কষ্টসাধ্য হওয়ায় খামার থেকেই ষাঁড়টিকে বিক্রির চেষ্টা চলছে।

Check Also

বুধবার যেসব এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণের দিন আগামী ৮ মে (বুধবার) সাধারণ ছুটি ঘোষণা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

x