ঢাকা , বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
রেকর্ড মূল্যে দল পেলেন মোস্তাফিজ রাণীশংকৈলে সাড়ম্বরে বিজয় দিবস পালিত  দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামানায়, প্রবাসী নোয়াখালী জেলা বিএনপি ও জাতীয়তাবাদী ফোরামের যৌথ উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত এশিয়ান ইয়ুথ প্যারা গেমসে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সাফল্য: ৫ পদক জয়ী দল ফিরছে দেশে ‎আমিরাতে রক্তদান কর্মসূচিতে প্রবাসীদের ভিন্ন আয়োজন এনসিপি ডায়াস্পোরা অ্যালায়েন্সে মালয়েশিয়ার উদ্যোগে চেরাস এ বাংলাদেশি ভোটারদের কাছে Postal Vote BD App এর ভোটাধিকার প্রয়োগের প্রচারনা এবং নিবন্ধন সহায়তা সুদানের আবেই অঞ্চলে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও গভীর শোক প্রকাশ করছে এক্স-ফোর্সেস এসোসিয়েশন খোকসায় গভীর শ্রদ্ধায় পালিত শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস নোয়াখালী আধুনিক শপিং কমপ্লেক্সের এম ডি হাসান খান এর সাথে সৌদি আরব রিয়াদ প্রবাসী ব্যাবসায়িদের আলোচনা সভা রাণীশংকৈলে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত।

নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র হলেন জোহরান মামদানি

সাংবাদিক
জোহরান মামদানি ইতিহাসই গড়ে ফেললেন। প্রথম মুসলিম ও দক্ষিণ এশিয়ান বংশোদ্ভূত রাজনীতিবিদ হিসেবে তিনি বনে গেলেন নিউইয়র্কের মেয়র। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার গভীর রাতে নির্বাচন শেষ হওয়ার পরপরই বিষয়টি জানিয়েছে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস।

৮৪ লাখেরও বেশি জনসংখ্যার এই শহরে তার এই জয় ইতিহাস গড়ল। অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই শহর এবার পেল এক নতুন নেতৃত্ব।

তবে নিউইয়র্কের মানুষ তার ধর্ম বা জাতিগত পরিচয়ের জন্য নয়, বরং তার মূল বার্তা—‘সাশ্রয়ী জীবনযাপন’—এর জন্যই তাকে সমর্থন করেছেন। মামদানী নিজেকে ‘গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রী’ হিসেবে পরিচয় দেন।

তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুয়োমো, যিনি এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়েছিলেন। কুয়োমো ভোটের দিনে বলেন, ‘ডেমোক্রেটিক পার্টির মধ্যে এখন এক ধরনের গৃহযুদ্ধ চলছে। সমাজতান্ত্রিক চিন্তাধারার এক দল আছে, যারা মাঝারি অবস্থানের ডেমোক্র্যাটদের চ্যালেঞ্জ দিচ্ছে।’

ব্রঙ্কসের জোশুয়া উইলসন বলেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় প্রেসিডেন্সির পর থেকে রাজনীতি অনেক বেশি তীব্র হয়েছে। নতুন তরুণদের উঠে আসা অনেকেই ভয় পাচ্ছে। কিন্তু মামদানী এই পরিস্থিতিতে এক নতুন কণ্ঠ।’

শেষ মুহূর্তে ট্রাম্প কুয়োমোকে সমর্থন দিলেও তা উল্টো ফল দেয়। এমনকি কুয়োমোর আগের সমর্থকরাও এবার মামদানীর পক্ষে ভোট দেন।

মামদানীর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিগুলোর মধ্যে আছে বিনামূল্যে বাস সেবা, সার্বজনীন শিশু যত্ন এবং ভাড়ার সীমা নির্ধারণ। তিনি বলেছেন, বড় কর্পোরেশন ও ধনীদের ওপর কর বাড়িয়ে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবেন।

তবে সামনে তার জন্য চ্যালেঞ্জও কম নয়। মধ্যপন্থীদের সমর্থন ধরে রাখা এবং প্রগতিশীলদের প্রত্যাশা পূরণ – দুই দিকই সামলাতে হবে তাকে।

ট্যাগ :

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ০৫:৩৩:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫
৬৩৭ Time View

নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র হলেন জোহরান মামদানি

আপডেটের সময় : ০৫:৩৩:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫
জোহরান মামদানি ইতিহাসই গড়ে ফেললেন। প্রথম মুসলিম ও দক্ষিণ এশিয়ান বংশোদ্ভূত রাজনীতিবিদ হিসেবে তিনি বনে গেলেন নিউইয়র্কের মেয়র। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার গভীর রাতে নির্বাচন শেষ হওয়ার পরপরই বিষয়টি জানিয়েছে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস।

৮৪ লাখেরও বেশি জনসংখ্যার এই শহরে তার এই জয় ইতিহাস গড়ল। অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই শহর এবার পেল এক নতুন নেতৃত্ব।

তবে নিউইয়র্কের মানুষ তার ধর্ম বা জাতিগত পরিচয়ের জন্য নয়, বরং তার মূল বার্তা—‘সাশ্রয়ী জীবনযাপন’—এর জন্যই তাকে সমর্থন করেছেন। মামদানী নিজেকে ‘গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রী’ হিসেবে পরিচয় দেন।

তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুয়োমো, যিনি এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়েছিলেন। কুয়োমো ভোটের দিনে বলেন, ‘ডেমোক্রেটিক পার্টির মধ্যে এখন এক ধরনের গৃহযুদ্ধ চলছে। সমাজতান্ত্রিক চিন্তাধারার এক দল আছে, যারা মাঝারি অবস্থানের ডেমোক্র্যাটদের চ্যালেঞ্জ দিচ্ছে।’

ব্রঙ্কসের জোশুয়া উইলসন বলেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় প্রেসিডেন্সির পর থেকে রাজনীতি অনেক বেশি তীব্র হয়েছে। নতুন তরুণদের উঠে আসা অনেকেই ভয় পাচ্ছে। কিন্তু মামদানী এই পরিস্থিতিতে এক নতুন কণ্ঠ।’

শেষ মুহূর্তে ট্রাম্প কুয়োমোকে সমর্থন দিলেও তা উল্টো ফল দেয়। এমনকি কুয়োমোর আগের সমর্থকরাও এবার মামদানীর পক্ষে ভোট দেন।

মামদানীর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিগুলোর মধ্যে আছে বিনামূল্যে বাস সেবা, সার্বজনীন শিশু যত্ন এবং ভাড়ার সীমা নির্ধারণ। তিনি বলেছেন, বড় কর্পোরেশন ও ধনীদের ওপর কর বাড়িয়ে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবেন।

তবে সামনে তার জন্য চ্যালেঞ্জও কম নয়। মধ্যপন্থীদের সমর্থন ধরে রাখা এবং প্রগতিশীলদের প্রত্যাশা পূরণ – দুই দিকই সামলাতে হবে তাকে।