Wednesday , 8 May 2024
শিরোনাম

পাবনা মানসিক হাসপাতালে রোগী ভর্তি বন্ধ, ভর্তি রোগীদের ফেরত পাঠাবে কতৃপক্ষ

আব্দুল জব্বার পাবনা প্রতিনিধিঃ

পাবনা মানসিক হাসপাতালের টেন্ডার কার্যক্রমের ওপর আদালতের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার কারণে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে রোগীদের খাবার সরবরাহ। এ কারণে ভর্তিকৃত রোগীদের পর্যায়ক্রমে বাড়িতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে বহির্বিভাগে রোগী ভর্তি বন্ধ রাখারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. রতন কুমার রায় স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ নির্দেশ দেয়া হয়। পাবনা মানসিক হাসপাতালের ওয়েবসাইটে দেয়া ওই বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. রতন কুমার রায় স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, ‘একজন ঠিকাদারের মামলার কারণে পাবনা মানসিক হাসপাতালে টেন্ডার কার্যক্রমের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত। এ কারণে টেন্ডার কার্যক্রম সম্পন্ন করা সম্ভব না হওয়ায় রোগীদের খাবার সরবরাহের জন্য ঠিকাদার নিযুক্ত করা সম্ভব হয়নি। হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের খাবার সরবরাহে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পত্র মারফত ও সরাসরি অবহিত করা হয়েছে। এজন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ রোগীদের খাবার সরবরাহে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ বা নির্দেশ প্রদান না করায় রোগীদের খাবার সরবরাহ চলমান রাখা সম্ভব হচ্ছে না। পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত হাসপাতালের বহির্বিভাগে রোগী ভর্তি বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করা হলো। হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের পর্যায়ক্রমে বাড়িতে পাঠানোর জন্য সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কনসালটেন্ট ও ওয়ার্ড ডাক্তারদের নির্দেশ প্রদান করা হলো।

হাসপাতালের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা এস এম আবু সিনা ও শাহনাজ পারভীন বলেন, ‘হাসপাতালের রিজার্ভ শেষ হয়ে যাওয়ায় শনিবার থেকেই রোগী ভর্তি বন্ধ রয়েছে। রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত পরিচালক। রোগীদের কিভাবে বাড়িতে ফেরত পাঠানো যায় সেই ব্যবস্থা চলছে।’

তারা জানান, ‘হাসপাতালের পেইড বেডে রোগী ভর্তি চলছে। কারণে পেইন বেডে রোগীর থাকা-খাওয়ার খরচ রোগীর স্বজনরা বহন করে। প্রতিমাসে পেইড বেডের রোগীদের জন্য ৮ হাজার ৫৫২ টাকা করে নেয়া হয়। কিন্তু ফ্রি’র রোগীর কোনো টাকা নেয়া হয় না। তাদের খরচ সরকারি তহবিল থেকে সংগ্রহ করা হয়।’

হাসপাতালের পরিসংখ্যান সূত্রে জানা গেছে, ৫০০ শয্যার এই হাসপাতালে এখন আনুমানিক ৪৮০ জন রোগী ভর্তি আছেন। তাদের মধ্যে ১৫০ জনের মতো পেইড বেডে ভর্তি। বাকি রোগী ফ্রি বেডের।

হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. রতন কুমার রায় বলেন, ‘আমরা অনেকবার বিষয়টি সমাধানের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানিয়েছি, কিন্তু লাভ হয়নি। বাধ্য হয়ে আমরা রোগী ভর্তি বন্ধ রেখেছি। আমরা চাই দ্রুত বিষয়টি সমাধান হোক।’

উল্লেখ্য, গত ২০২১ সালের ১৪ জুন রোজ এন্টারপ্রাইজ নামে পাবনা মানসিক হাসপাতালে রোগীদের খাবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান টেন্ডারে দ্রব্যের নাম উল্লেখ করা জটিলতা নিয়ে পাবনা জজ কোর্টে একটি মামলা দায়ের করে। আদালত ওই বছরের ২৯ জুন সার্বিক বিবেচনায় পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বিবাদীর (মানসিক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ) বিরুদ্ধে অন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা জারি করলে দেখা দেয় এই জটিলতা।

Check Also

১৩৯ উপজেলায় ভোটগ্রহণ চলছে

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দেশের ৫৯ জেলার ১৩৯টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ চলছে। আজ বুধবার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

x