ঢাকা , শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫, ১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :

বাংলাদেশে নতুন করে আশ্রয় নিয়েছে দেড় লাখ রোহিঙ্গা: জাতিসংঘ

সাংবাদিক

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহিংসতা ও নির্যাতনের কারণে গত ১৮ মাসে বাংলাদেশে নতুন করে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় দেড় লাখ রোহিঙ্গা। শুক্রবার জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

সংস্থাটি জানায়, ২০১৭ সালের রোহিঙ্গা আগমনের পর এই সংখ্যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। নতুন শরণার্থীদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। জুন পর্যন্ত বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে ১ লাখ ২১ হাজার রোহিঙ্গাকে শনাক্ত করা গেলেও অনেকে এখনও অনিবন্ধিত অবস্থায় ক্যাম্পে বসবাস করছেন।

বর্তমানে কক্সবাজারের মাত্র ২৪ বর্গকিলোমিটার এলাকায় প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গার বসবাসে এটি বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ শরণার্থী ক্যাম্পে পরিণত হয়েছে। ইউএনএইচসিআর বলছে, নতুন আগমনকারীদের জন্য খাদ্য, চিকিৎসা, শিক্ষা ও আশ্রয়ের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বিদ্যমান মানবিক সহায়তা ব্যবস্থায় মারাত্মক চাপ সৃষ্টি হয়েছে।

দাতাগোষ্ঠীর অর্থসংকটে ক্যাম্পের গুরুত্বপূর্ণ সেবাগুলো ব্যাহত হচ্ছে। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা বন্ধ হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে এবং ডিসেম্বরের মধ্যে খাদ্য সহায়তাও পুরোপুরি বন্ধ হতে পারে। এছাড়া, দুই লাখ ৩০ হাজার রোহিঙ্গা শিশুর শিক্ষাও বন্ধ হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছে সংস্থাটি।

এই সংকটে হতাশা, নিরাপত্তাহীনতা ও ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তা বেড়েছে। অনেক রোহিঙ্গা সমুদ্রপথে ঝুঁকিপূর্ণ ভ্রমণের চেষ্টা করছে।

রাখাইন রাজ্যে শান্তি না ফিরলে রোহিঙ্গাদের জন্য জীবন রক্ষাকারী সহায়তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।

 

ট্যাগ :

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ০৭:০২:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫
৫৫১ Time View

বাংলাদেশে নতুন করে আশ্রয় নিয়েছে দেড় লাখ রোহিঙ্গা: জাতিসংঘ

আপডেটের সময় : ০৭:০২:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহিংসতা ও নির্যাতনের কারণে গত ১৮ মাসে বাংলাদেশে নতুন করে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় দেড় লাখ রোহিঙ্গা। শুক্রবার জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

সংস্থাটি জানায়, ২০১৭ সালের রোহিঙ্গা আগমনের পর এই সংখ্যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। নতুন শরণার্থীদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। জুন পর্যন্ত বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে ১ লাখ ২১ হাজার রোহিঙ্গাকে শনাক্ত করা গেলেও অনেকে এখনও অনিবন্ধিত অবস্থায় ক্যাম্পে বসবাস করছেন।

বর্তমানে কক্সবাজারের মাত্র ২৪ বর্গকিলোমিটার এলাকায় প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গার বসবাসে এটি বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ শরণার্থী ক্যাম্পে পরিণত হয়েছে। ইউএনএইচসিআর বলছে, নতুন আগমনকারীদের জন্য খাদ্য, চিকিৎসা, শিক্ষা ও আশ্রয়ের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বিদ্যমান মানবিক সহায়তা ব্যবস্থায় মারাত্মক চাপ সৃষ্টি হয়েছে।

দাতাগোষ্ঠীর অর্থসংকটে ক্যাম্পের গুরুত্বপূর্ণ সেবাগুলো ব্যাহত হচ্ছে। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা বন্ধ হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে এবং ডিসেম্বরের মধ্যে খাদ্য সহায়তাও পুরোপুরি বন্ধ হতে পারে। এছাড়া, দুই লাখ ৩০ হাজার রোহিঙ্গা শিশুর শিক্ষাও বন্ধ হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছে সংস্থাটি।

এই সংকটে হতাশা, নিরাপত্তাহীনতা ও ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তা বেড়েছে। অনেক রোহিঙ্গা সমুদ্রপথে ঝুঁকিপূর্ণ ভ্রমণের চেষ্টা করছে।

রাখাইন রাজ্যে শান্তি না ফিরলে রোহিঙ্গাদের জন্য জীবন রক্ষাকারী সহায়তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।