এস এম রুবেল (ফরিদপুর) প্রতিনিধি ঃ ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার রূপাপাত ইউনিয়নে এক স্কুল ছাত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকারীকে পুলিশ আটক করেছে। হত্যা করে ওই কিশোরীর হাত-পা বেঁধে লাশ বাথরুমে ফেলে রাখা হয়। রোববার (১৪.০৮.২২) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। জানা যায়, উপজেলার ইছাডাঙ্গা গ্রামের মুক্তার শিকদারের মেয়ে ফারিয়া খানম (১১) স্থানীয় নড়াইল এম এ মান্নান উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ট শ্রেণির ছাত্রী। রোববার সন্ধ্যার পর তাদের বাড়ির পশ্চিম পাশের দোকান থেকে প্রতিবেশি মানোয়ার শিকদারের বখাটে ছেলে রাসেল শিকদার
(২২) দোকানের পাওনা টাকা দেওয়ার কথা বলে ফারিয়াকে বাড়িতে ডেকে নেয়। দীর্ঘ সময়
ফারিয়াকে না পেয়ে সবাই খুঁজতে বের হয়। কোথাও খুঁজে না পেয়ে এলাকাবাসী রাসেলকে আটক করে। তখন সে অস্বীকার করলে রাসেলের ঘর তল্লাশি করা হয়। পরে রাসেলের ঘরের বাথরুম থেকে গলায় ওড়না
দেওয়া এবং রশি দিয়ে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ফারিয়াকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে পাশের আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। ঘবর পেয়ে ডহরনগর ফাঁড়ি পুলিশ ঘাতক রাসেলকে আটক করে ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। ফারিয়ার লাশ ময়না তদন্তের জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
বোয়ালমারী থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
ফারিয়ার পিতা মো. মুক্তার শিকদার বলেন, রাসেল খুবই বখাটে প্রকৃতির ছেলে। আমাদের
দোকানে ১৫০ টাকা বাকি খেয়ে আর টাকা পরিশোধ করেনা। রোববার সন্ধ্যায় আমার মেয়েকে
টাকা দেওয়ার কথা বলে ঘরে ডেকে নেয়। পরে হাত-পাঁ বাঁধা অবস্থায় রাসেলের ঘরের বাথরুম
থেকে তার লাশ উদ্ধার করি। তিনি কন্যা হত্যার সঠিক বিচার চান, রাসেলের ফাঁসি চান।
ডহরনগর ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মোক্তার হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘাতক
রাসেলকে আটক করা হয়েছে। সে পুলিশ হেফাজতে আছে। ফারিয়ার লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তাকে ধর্ষনের পর হত্যা করা হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। সুরতহাল রিপোর্টে সেরকম আলামত পাওয়া গেছে।
বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, মামলার প্রস্তুতি চলছে।