মিডিয়ার সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পুলিশ রাস্তায় পড়ে ছিলো, সেই ছবি মিডিয়া দেখায়নি। তারা বিআরটিসি বাস পুড়িয়েছে। সরকারি গাড়ি পুড়িয়ে ফেলবে, সেই ছবি দেখাবে না। এই দুর্ব্যবহার কেন করা হচ্ছে? মিডিয়ার একটি অংশ কেন একটি পক্ষ নিচ্ছে? এটা আমার অভিযোগ। কক্সবাজারে এতো বড় সমাবেশ, মিডিয়া ঠিকভাবে দেখায়নি। মিডিয়ার কাছে আমরা প্রত্যাশা করি, তারা যা দেখবে তাই দেখাবে। আমরা সত্যকে তুলে ধরার আহ্বান জানাই।
বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির সম্পাদকমণ্ডলীর সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ শাখা, সহযোগী সংগঠনসমূহের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং দুই সিটি মেয়রের যৌথসভার শুরুতে দেওয়া স্বাগত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশে আগুন সন্ত্রাস শুরু করে দিয়েছে বিএনপি। দেশের মানুষ আতঙ্কে আছে। সমাবেশকে কেন্দ্র করে তারা মাঠে নামিয়েছে জঙ্গিদের। লাশ ফেলার দুরভিসন্ধি তারা গতকাল কার্যকর করেছে। তারা হামলা করেছে পুলিশের উপর।
তিনি বলেন, লন্ডন থেকে ফরমায়েশ আসে। মির্জা ফখরুল চাকরি রক্ষার জন্য তা করে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সব বিভাগ, জেলা, উপজেলা, থানা, ওয়ার্ডে সতর্ক অবস্থায় থাকবে। ষড়যন্ত্রের চোরাগলি দিয়ে বিএনপি সরকার হটানোর চেষ্টা করছে। সাম্প্রদায়িক শক্তির হাতে আমরা দেশকে তুলে দিতে পারি না। এটা আমাদের শপথ। আক্রমণ আমরা করবো না। তবে আক্রান্ত হলে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে। আমরা সরকারি দল, মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে। আমাদের যেন কোনো বদনাম না হয় আক্রমণকারী হিসেবে।
এসময় রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ আমরা করতে দেবো না। আগামীকাল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সমাবেশও মহানগর নাট্যমঞ্চে হবে। জনগণের ভোগান্তি হতে দেওয়া যাবে না।
এসময় কূটনীতিকদেরও সমালোচনা করেন তিনি। বলেন, আমাদের বিদেশি বন্ধুরা একতরফা কথা বলবে, এটা কূটনৈতিক শিষ্টাচার নয়।
বিদ্যুৎ সমস্যা নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, খেলা দেখতে কারেন্ট সমস্যা, এমন অভিযোগ নেই। বিশ্ব সংকটময় পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনা শক্তভাবে সামাল দিচ্ছেন।